এসবিএন ডেস্কঃ আমাদের দেশে চাকরি যেখানে সোনার হরিণের মতো। সেখানে মাসিক ২৬ লাখ টাকা বেতনের চাকরিতেও কেউ নাকি বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে সেটি আমাদের দেশে নয়- দ্বীপ রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে।
অকল্যান্ড থেকে ১৩০ মাইল দক্ষিণের শহর টোকোরোয়া। অধিবাসী মাত্র ১৩ হাজার ৫শ’ জন। সেখানকার হাসপাতালের জনৈক চিকিৎসক অ্যালান কেনি। তিনি সহ ওই হাসপাতালে ছয়জন চিকিৎসক কাজ করেন।
কেনি গত দু’বছর ধরে ওই হাসপাতালে তার জায়গায় একজন চিকিৎসক খুঁজে চলেছেন কিন্তু এখনও নাকি কাউকে পাননি। এমনকি বাৎসরিক প্রায় ৩ কোটি ১২ লক্ষ টাকা (৪,০০,০০০ ডলার) বেতনের এই চাকরিতে গত ৪ মাসে নাকি কেউ কোনো আগ্রহ পর্যন্ত দেখায়নি বলে জানান ৬১ বছর বয়সী কেনি।
চাকরির অন্যান্য সুবিধাদিও কিন্তু মন্দ নয়; রাতে কোন কাজ করতে হয় না, ৪ দিনে সপ্তাহ, বছরে ১২ সপ্তাহ ছুটি এবং সেইসঙ্গে রয়েছে স্বল্পমূল্যের আবাসন ব্যবস্থা। এতোসব সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না? কি অসুবিধা এই চাকরিতে?
এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে কেনির শরণাপন্ন হলে তিনি জানান, যুক্তরাজ্য থেকে ৩০ বছর পূর্বে তিনি এখানে আসেন। ৬ হাজারের বেশি রোগীকে তিনি এখানে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এমনকি কাজের সফলতার জন্য তাকে দ্বিগুণ বেতনও অফার করা হয়েছে। তিনি জানান, এখানে চাকরি করতে ডাক্তারদের অনাগ্রহের বড় কারণ যেটা হতে পারে তা হলো মূল শহর থেকে টোকোরোয়ার দূরত্ব এবং কাজের অতিরিক্ত চাপ।
কেনি জানান, তিনি নিজেও আর কাজের চাপ নিতে পারছেন না। তাই একজন তরুণ ডাক্তার খুঁজছেন যার সঙ্গে কাজ ভাগ করে নিতে পারবেন অথবা সম্ভব হলে পুরো দায়িত্বটাই তাকে বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখানে বিকল্প ডাক্তার পাওয়া খুবই কষ্টের। এই কারণে গত বছর আমি ছুটিতে যেতে পারিনি। এ বছরও মনে হয় তেমনটিই ঘটতে চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার কাজকে খুব পছন্দ করি এবং তা করেও যেতে চাই। কিন্তু অন্য কোন ডাক্তারকে এখানে আসার ব্যাপারে কোনভাবেই আগ্রহী হচ্ছে না।’
সূত্র: স্কাই নিউজ
সংবাদটি শেয়ার করুন