সদরুল আইনঃ
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে হায়েনার আক্রমণের শিকার হয়েছে সাইফ (২) নামের এক শিশু।
এতে করে ওই শিশুর এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘সকালে ঘুরতে আসা শিশুটি খাঁচার বাইরে থেকে ভেতরে হাত ঢুকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজ-খবর নিয়েছে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’
ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি দুটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শিশুটির পাশে আছে বলে জানান ইফতেখার।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি রংপুর জেলার পীরগঞ্জের সুমন ও শিউলী আক্তার দম্পতির সন্তান।
মা-বাবা গাজীপুরে গার্মেন্টকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুটি।
এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি, খাঁচার ফাঁক দিয়ে শিশুটি হাত ঢুকিয়ে দিলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সঙ্গে শিশুটি চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে।
শিশুটির মা-বাবাই নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে শিশুটিকে নিয়ে হায়েনার খাঁচার কাছে চলে আসেন।
যদিও খাঁচায় নেট দেওয়া ছিল। কিন্তু ছোট বাচ্চা নেটের ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেয়।
তখনই বাচ্চাটার হাত কামড়ে কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে হায়েনা এবং বিচ্ছিন্ন হাতটি খেয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মী বাচ্চাটার হাত ধরে চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুততার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটির হাতে মেডিসিন দেন চিকিৎসক।
এরপর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই অধিদপ্তর থেকে কর্মকর্তারা এসে সব কিছু ঘুরে দেখেছেন।
চিড়িয়াখানার পরিচালক আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর আলাদা আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
একই সঙ্গে মন্ত্রী মহোদয় বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন। ’
সংবাদটি শেয়ার করুন