এসবিএন ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় তলবকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। বিকেল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
মামলার তদন্তে বাদী ও সাক্ষীসহ মোট পাঁচজনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী তলব করে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- মামলার বাদী আশরাফুল হক, সাক্ষী আবুল কালাম আজাদ, আতিকুল ইসলাম, নূর-এ-ইসলাম উজ্জ্বল ও এস এম আলাউদ্দিন পরাগ।
মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান থাকাকালে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী আশরাফুল হক বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। পরে তদন্তের জন্য দুদকে মামলার কপি পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন- মাওলানা আব্দুস সোবহান, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ার, ইঞ্জিনিয়ার ইস্কান্দার আলী খান, মো. ফজলুর রহমান, মো. দাউদ, আবদুল হাই, মোসাম্মৎ লুৎফুননেছা, মো. সুলতানুজ্জামান ও মো. লুৎফর রহিম খান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিগন্ত মিডিয়া নামক একটি কোম্পানীর উদ্বোধনের সময় আসামীদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়।
তারই সূত্র ধরে ২০১০ সালে মীর কাসেম আলী তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে প্রলুব্ধ করেন। এরপর তাকেসহ ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
এরপর ফাউন্ডেশনের অধীন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জন্য জমি ক্রয়ের প্রস্তাব গৃহীত হয়। জমি ক্রয়ের জন্য ফাউন্ডেশন থেকে টাকা না দিয়ে মীর কাসেম বাদীকে জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিতে প্রলুব্ধ করেন।
বিনিময়ে তাকে হাসপাতালের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সে মোতাবেক বাদী জমি ক্রয়ের জন্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জমি ক্রয়ের জন্য তার কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা নেওয়া হলেও মাত্র ৫২ লাখ টাকায় জমি কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
বিষয়টি তিনি জানার পর টাকার জন্য চাপ দিলে তাকে টাকার সমমূল্যের হাসপাতালের শেয়ার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু এখনো তাকে শেয়ার দেওয়া হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন