ডেস্ক নিউজ: টেস্টে ৫০ রানের কমে দল প্রথম ৫ উইকেট খোয়ানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটা এখন তাদের। ঢাকা টেস্টে সোমবার(২৩ মে) শ্রীলকার বোলারদের সামনে কোমড় সোজা করে দাড়াতে পারেননি তামিম,সাকিব ও জয়। কিন্তু সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ঘুরে দাড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক-লিটন। তাদের ব্যাটে ভর করে হেসে খেলে প্রথম দিন শেষ হয়েছে। ৮৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তুলেছে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে উইকেটে অপরাজিত আছেন মুশফিক ১১৫ ও লিটন ১৩৫ রান। তবে দিন শেষে একটা বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন লিটন ও মুশফিক। সম্প্রতি মুশফিকের ব্যাটিং নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় বেশ গুঞ্জন চলছিল। অনেকে বলেছে মিস্টার ডিপেন্ডেবল ব্যাটিং ভুলে গেছে। আবার অনেকে বলেছে তিনি ব্যাটিং ভুলে গেছে। যাইহোক গুরুত্বপূর্ন সময় নিজের জাত চেনাতে ভুল করেনি মুশফিক।
সোমবার (২৩ মে) দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। ৬.৫ ওভারে দলীয় ২৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে লঙ্কান পেসার কাশুন রাজিথার দ্বিতীয় বলে বোল্ড ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। এর পর দলীয় ৬রানে আউট হন তামিম ইকবাল। তিনি রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। এমনকি মুমিনুলও বিপদে দলের হাল ধরতে পারেনি। তিনি ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন।
মিরপুর টেস্টে মুমিনুল ক্রিজে এসে প্রথম বলেই পেয়েছিলেন বাউন্ডারি। পরের ওভারে আরেকটি চোখ ধাঁধানো কভার ড্রাইভ। রান খরায় থাকা মুমিনুল ছন্দে ফেরার আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেট কামড়ে লড়াই করতে পারেননি টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। পেসার আশিথা ফার্নান্দোর বল খেলা, না খেলা নিয়ে দ্বিধায় ব্যাট চালান মুমিনুল। ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। তিনি রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। শূন্য রানে আউট হন সাকিব। এমনকি নাজমুল হোসেন শান্তও শ্রীলঙ্কাকে উইকেট উপহার দিয়েছেন। পেসার রাজিথার ভেতরে ঢোকানো বলে বোল্ড হন শান্ত। তিনি ২১ বলে ৮ রান করেন করেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) তারা দুজন বড় সংগ্রহের দিকে এগোবেন তা নতুন করে বলার কিছু নেই। মূলত মুশফিক-লিটনের ব্যাটে স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ।
এর পর ছন্দে থাকা লিটন দাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ঘণ্টার বিপর্যয় সামলে দ্বিতীয় ঘণ্টায় ভালো শুরু করেন তারা দুজন। দেখে শুনে বেশ ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন-মুশফিক। সেই সঙ্গে বিপর্যয় সামলে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩ তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তার সঙ্গী মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬ তম হাফসেঞ্চুরি করেন। এরপর লিটন পেয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তিনি খাদের কিনারায় দাড়িয়ে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন। হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৯৬ বলে আর সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে খেলেছেন ১৪৯ বল। আর ১৪টি চার হাকিয়েছেন। এর পর টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
সংবাদটি শেয়ার করুন