৬ই মার্চ ২০২১ ইং | ২১শে ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৬
ইয়ামান অ্যামি তার ৩ সন্তান ও স্বামীসহ ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে ওয়াশিংটন যাচ্ছিলেন। বিমানটি আকাশে উড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পাইলট নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে নেমে যেতে বলেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিমান সেবিকা এবং একজন পাইলট ‘নিরাপত্তা’র অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে বিমান থেকে নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। তখন অ্যামি পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, এটি কি ‘বৈষম্যমূলক’ সিদ্ধান্ত নয়? তখন পাইলট ‘ফ্লাইট সেফটি ইস্যু’র কথা বলেন। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেনি।
দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন(কেয়ার) মুসলিম পরিবারটির পক্ষ থেকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স বরাবর একটি চিঠি পাঠায় এবং অভিযুক্ত স্টাফদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দাবি জানায়।
কেয়ার-শিকাগোর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ রিহাব এই বিবৃতিতে বলেন, এই ধরনের ঘটনা দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। মুসমানদের বেশভূষা থাকলেই ‘যুক্তিহীন’ কারণ দেখিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ইয়ামিন অ্যামি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সকে ধিক্কার জানাচ্ছি। বিনা কারণে আমাকে এবং আমার পরিবারকে তারা কথিত ‘সেইফটি ফ্লাইট ইস্যু’ দেখিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছে। বসন্তকালীন ছুটি শেষে আমরা ওয়াশিংটন যাচ্ছিলাম। আমার বাচ্চারা এইটুকু বয়সে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো।
অবশ্যই এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য একাধিকবার অ্যামির পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766