কপিল দেব রেডটাইমস নিউজ ডেস্ক মৌলভীবাজারঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাঁথা ছড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনে আজ ৪দিনের জন্য এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গড়া শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় জনসাধারণের জন্য এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান।
তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাঁথা জানতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে বঙ্গবন্ধু রেল জাদুঘর পরিদর্শন করার আহবান জানান।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের পরিচালনায় উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মুহিব উদ্দিন আহমদ, স্টেশন মাস্টার (ইনচার্জ) রোমান আহমদ, উপজেলা কৃষক লীগ সম্পাদক ফুয়াদ আলম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুহিব উদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ৪দিন (১৭- ২২ নভেম্বর পর্যন্ত) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ” গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ জাদুঘর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগস্টের প্রথম দিন থেকে দেশের নানা প্রান্তে যাচ্ছে রেলের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর।
বগিতে উঠতেই দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। দরজার পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত মুজিব শতবর্ষের লোগো। বঙ্গবন্ধুর জীবন-আন্দোলন সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাবার বাড়ি, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছবি।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, দলীয় প্রতীক নৌকা, মুজিব কোট, মুজিব শতবর্ষের লোগো এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা বই, মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ প্রভৃতি বিষয় স্হান পেয়েছে ।
এছাড়া জাদুঘরটিতে তৈরি করা হয়েছে একটি বুকশেলফ। সেখানে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীনসহ তার কর্মময় জীবনের ওপর রচিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বই।
এ জাদুঘর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ নির্মাণ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানলে তাদের মধ্যে দেশকে নিয়ে আরও জানার আগ্রহ বাড়বে।
জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’।
সংবাদটি শেয়ার করুন