নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের নদীগুলোতে বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
ক’দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার মনু, ধলাই, ফানাই, জুড়ী ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তীব্র তাপদাহ আর দীর্ঘ খরা ও অনাবৃষ্টির পর আষাঢ়ের শুরু থেকে বৃষ্টির দেখা মিলে। আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণে এখন জেলার হাওর ও নদীগুলো পানিতে টুইটম্বর। এমন দৃশ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে নদী ও হাওর তীরের বাসিন্দাদের।
একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের ঝুঁকিও বাড়ছে মনু নদীর। নদী তীরের বাসিন্দারা বলছেন বৃষ্টি ও উজানের পানি যেভাবে আসছে তা অব্যাহত থাকলে গেল বছরের মতো দুই একদিনের মধ্যে ঘরবাড়িও গ্রাস করবে।
এনিয়ে বন্যা ও দীর্ঘজলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন তারা। হাকালুকি হাওর তীরের বাসিন্দারা জানান গেল ক’দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানিতে টুইটম্বর হাকালুকি।
এখন প্রতিনিয়তই বাড়ছে পানি। গেলো বছরের মতো আর্কস্মিক বন্যা নিয়ে তারা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যে জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হাকালুকির সাথে সংযুক্ত ফানাইসহ অন্যান্য নদী ও গাঙ এর পানি টুইটম্বর হয়ে হাকালুকিতে প্রবেশ করছে। একই সাথে জেলার মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি দুরত্বে প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের তথ্য মতে- জুড়ী নদীর বিপদসীমা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার। গতকাল (সোমবার) বিকেল পর্যন্ত ৯ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদী সদর উপজেলার শেরপুর সেতুতে এ নদীর বিপদসীমা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৭ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
মনু নদীর শহরের চাঁদনীঘাট সেতুতে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার । গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৭ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রিজে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যার আগাম সতর্ক বার্তা দিয়ে মানুষকে সচেতন হবার তাগিদ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান- বন্যা তারা তৎপর রয়েছেন। ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কন্ট্রলরুম খোলা হয়েছে। ওখান থেকে সার্বক্ষণিক জেলার নদ নদীর পানির সার্বিক অবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতকৃত জিও ব্যাগও মজুদ রাখা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন