মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ৩নং কামালপুর ইউনিয়নের বাসুদেবশ্রী গ্রামের মিস্টার আলী নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ তানভীর চৌধুরী (২৮)।
অভিযোগকারী , তানভীর চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ তানভীর চৌধুরীর সাথে মিস্টার আলীর পরিচয় হয় তানভীরের বন্ধু বাউরভাগ গ্রামের জব্বার মিয়া’র বোন জামাই টিপু মিয়ার মাধ্যমে।
এই পরিচয়ের সুবাদে মিস্টার আলী তানভীর চৌধুরীর সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে। এই ঘনিষ্ঠতা তৈরীর মাধ্যমে মিস্টার আলী তানভীরকে প্রস্তাব দেয় যে, তার চতুর্থ কন্যা শরমিলা আক্তার প্রমি’র সাথে বিয়ে দিয়ে আমেরিকা পাঠাবে বলে এবং তানভীর চৌধুরীর নিকট থেকে টিপু মিয়া, জব্বার মিয়াসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষীর সম্মুখ হতে নগদ ৪লক্ষ টাকা নেন।
কথা হয় যে একমাসের মধ্যে মিস্টার আলী অভিযোগ কারী তানভীর চৌধুরীকে একমাসের মধ্যে অর্থাৎ ৩রা এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখের ভিসা প্রদান করে আমেরিকা পাঠাবেন।
কিন্তু ৩রা এপ্রিল ২০২৩ইং ভিসা না পাওয়ায় মিস্টার আলীর সাথে যোগাযোগ করলে সে দিব দিচ্ছি করে বিভিন্ন তারিখ ও সময় নেয় এবং তালবাহানা করতে থাকে।
একপর্যায়ে অভিযোগকারী মোঃ তানভীর চৌধুরী অভিযোগে উল্লেখিত সাক্ষীদের অবগত করে বিচার প্রার্থী হলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মিস্টার আলী জানান, ১২/০৫/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৫ঘটিকার সময় তাদের উপস্থিতিতেই আমেরিকা নেয়ার অগ্রীম ৪,০০,০০০/ (চার লক্ষ টাকা) পরিশোধ করবে।
কিন্তু উপরোক্ত তারিখে বিবাদী টাকা পরিশোধ না করে ৪লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযোগকারী তানভীর চৌধুরীকে মিস্টার আলী ও অপরাপর আসামীগন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে হুমকি দিয়ে বলে যে আর টাকা ফেরত চাইলে তানভীর চৌধুরীকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।
অভিযুক্ত ১। মিস্টার আলী, পিতা- মুদত মিয়া ২। রুবি আক্তার (৪০) স্বামী- মিস্টার আলী, ৩। মাহিয়া আক্তার (২৮), ৪। শাকিলা আক্তার প্রমি (২০), ৫। শরমিলা আক্তার প্রমি (১৯) সর্ব পিতা – মিস্টার আলী সাং বাসুদেব শ্রী, কামালপুর ইউপি, থানা ও জেলা মৌলভীবাজার। ৬। রাহাত মিয়া (৩৩) পিতা- কামরুল ইসলাম, পিতা- সাং আমকোনা, থানা হবিগঞ্জ, জেলা হবিগঞ্জ।
অভিযুক্ত মিস্টার আলীর ০১৭৯৬- ৬৭৫১৯৬ নাম্বারে রাত ৮:২৬ মিনিটে কল করে উপরোক্ত বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিদেশ নেয়ার বিষয়টি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে স্বীকার করেন। কিন্তু ৪ লক্ষ টাকা নাকি কত টাকা তা তিনি এখন বলতে পারবেন না বলেন। উক্ত বিষয়টি এলাকার মুরব্বিরা দেখছেন কিন্তু কেন সে অভিযোগ করলো সেটা বুঝবেন বলে উল্লেখ করেন। এব্যাপারে এখন আর কিছু বলতে চান না বলে কল কেটে দেন।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন