কপিল দেব রেডটাইমস নিউজ ডেস্ক মৌলভীবাজারঃ:
মৌলভীবাজারে প্রবাসীদের বৈধভাবে রেমিটেন্স(প্রবাসী আয়) প্রেরনে উদ্বুদ্ধকরন সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রবাসীরা বৈধভাবে তাদের আয় পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধকরন সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ১ কোটি ৩০ লাখেরও অধিক বাংলদেশি কর্মী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন। তারা বছরে গড়ে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করে থাকেন। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান এক দিকে দেশের বেকারত্ব হ্রাস করে, অন্যদিকে প্রবাসীদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো, দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেবে।বৈদেশিক কর্মসংস্থান এক দিকে দেশের বেকারত্ব হ্রাস করে, অন্যদিকে প্রবাসীদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দেশের আমদানী ব্যয় মেটানো, দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, মৌলভীবাজার জেলা হতে ২০০৫ সাল থেকে অদ্য ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ২,০৫,০২৪ জন লোকের বৈদেশিক কর্মংস্থান হয়েছে ; যারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং অদ্য ৫ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখ হতে ৫ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত মাসব্যাপী মৌলভীবাজার জেলার অভিবাসীদেরকে অভিবাদন জানিয়ে এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স প্ররণের উৎসাহ প্রদান করে আধাসরকারি পত্র ও ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করবে।
নাহিদ আহসান প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে না পাঠিয়ে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন, দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। ২০৪১ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের মতো রেমিট্যান্স যোদ্ধার অবদান জাতি সব সময় কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, স্থাণীয় সরকার উপপরিচালক মল্লিকা দে,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তানিয়া ইসলাম, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) জাহিদ আক্তারসহ টেলিভিশন ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।
সংবাদটি শেয়ার করুন