১৭ই আগস্ট ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৮
মৌলভীবাজার শহরে বন্যার পানি পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসছে পূর্ব দিকে । এরি মধ্যে মৌলভীবাজারের সঙ্গে সিলেট ও জেলার চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ।টানা চার দিনের বন্যায় মনু নদের বাঁধ ভেঙে রাস্তা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসি মানুষ। তবে আশার কথা, নদীতে পানি কমছে ।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজার মনু নদের পানি কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে উজানে ভারতের ঊনকোটি জেলার কৈলাসশহরে ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তা হলে আশা করা যাচ্ছে মনু নদের পানি কমবে। এদিকে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। শেরপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনার জোয়ারের ভাটা পড়েছে তাই দ্রুত কুশিয়ারা নদী পানি নিষ্কাষন হচ্ছে। অন্যদিকে ধলাই নদীর পানি আজ রাত নয়টার বিপদ সীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদের মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে এক দিনে ১৩ সেন্টিমিটার কমে ১১৫ সেন্টিমিটার উপদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার থেকে কমে ১৭৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।১৭ টি ভাঙ্গনের পর আর কোন নতুন বাঁধ ভাঙ্গে নাই। মৌলভীবাজার শহর রক্ষার জন্য সেনা বাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে।
রোববার সকাল থেকে পৌরসভাধীন বড়হাট এলাকায় মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে, শনিবার মৌলভীবাজার-রাজনগর-সিলেট রোডের রাজনগর উপজেলাধীন কদমহাটা এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। এর ফলে সিলেটের সঙ্গে মৌলভীবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মনুর ভাঙন দিয়ে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করে মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে কোমরজল দেখা দিয়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবাহ বাড়ছে শহরের দিকে। এর ফলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। রাস্তার দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে, মনুর বাঁধ ভাঙায় মৌলভীবাজার শহরের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত পানি গড়াচ্ছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। শহর ও শহরতলীর বাসাবাড়িতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানিতে ডুবে আছে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারন করেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দিরা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com