তারা অযোগ্য ছিলেন, অশিক্ষিত ছিলেন এমন কথা কখনো শুনি নি । তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন ছিলেন । এটা কোন দোষ নয় । অতীতেও সকল রাষ্ট্র প্রধানের এ রকম প্রিয় সাংবাদিক ছিলেন। তারা দলীয় কোন পদে ছিলেন কি না জানি না । থাকতেও পারেন। অতীতে অনেক সাংবাদিক রাজনীতি করেছেন । সরাসরি দল ও করেছেন। মাওলানা আকরাম খাঁ ,আবুল মনসুর আহমদ, শহীদুল্লাহ কায়সার, নির্মল সেন, আনোয়ার জাহিদ, এনায়েত উল্লাহ খান, কাজী সিরাজ, রেজোয়ান সিদ্দিকী কে না সাংবাদিকতার পাশাপাশি দল করেছেন? সাংবাদিকদের জন্য কোন রাজনীতি সমর্থন করা বা দল করা তো কবীরা গোনাহ নয় । তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছেন , কিন্তু নিজেদের পেশাকে ভুলে গিয়ে তাঁর গুণ গানে মত্ত হয়েছেন । ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার জায়গা থেকে সরে গেছেন । এতে করে তারা সমালোচিত হয়েছেন । নিন্দিত হয়েছেন । কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে নাজেহাল করতে হবে। তারা যদি কোন অপরাধ করে থাকেন , দুর্নীতি করে থাকেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাঁদের নামে , তাহলে অবশ্যই আইনের আওতায় নেয়া যাবে । কিন্তু অকারণে গ্রেপ্তার নাটক সাজিয়ে সাংবাদিকদের অপদস্ত করাটা ঠিক হবে না । একজন সাংবাদিক হিসেবে আমরা আশা করবো কোন সরকারের আমলেই যেন সাংবাদিকতা পেশাকে কলংকিত করার অপচেষ্টা না হয় ।