মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাট রঘুনাথপুর কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের একের পর এক অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং তৈরী, আওয়ামীলীগ এর সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো: শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু এর স্ত্রী’র সাথে লিয়াজু মেন্টেন করে অধ্যক্ষ পদে আসার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রঘুনাথপুর কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম জেষ্ঠতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিনিয়রদের কে আবেদনের সুযোগ না দিয়ে তৎকালিন আওয়ামীলীগের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী’র স্ত্রী ও তার একান্ত সহযোগী নুরুজ্জামান এর সাথে লিয়াজু মেন্টেন করে এককভাবে সহ-সুপার পদটি দখল করে।
অধ্যক্ষ মো: আনোয়ারুল ইসলাম অবসরে যাবার পরে অধ্যক্ষটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে সহকারি অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম। অধ্যক্ষ পদে আমার জন্য সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী’র একান্ত সহযোগী নুরুজ্জামান কে মোটা অংকের টাকা দেন বলেও জানা যায় বিশ্বস্তসূত্রে। শুধু তাই নয় এই অধ্যক্ষ পদের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: তৌহিদুল ইসলাম কেও দেওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব। যা সভাপতি প্রতিষ্ঠানের জরুরি সভায় প্রকাশ করেন। সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুজ্জামান এর পরামর্শে স্থানীয় মোস্তফা ও ভারপ্রাপ্ত সুপার সভাপতি’র বিরুদ্ধে আদালতে রিট দায়ের করেন। যার তদন্তে দায়িত্ব পড়ে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসে সভাপতি’র বিরুদ্ধে আদালতে যে রিট দায়ের করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৃথকভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত সুপার কে অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। শুধু তাই নয় একই সময় স্থানীয় মো: ওয়াহেদুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে জানান প্রতিবেদক কে।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: আসমা খাতুন বলেন, তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন