আদিতমারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
বিএনপি-জামাত নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।এতে পথচারী সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ জামাত বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়।এতে নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিতদের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে।এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়িয়েছে দলটির সমর্থকরা।
পরিস্থিতির এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসে হামলা হয়।চেয়ারটেবিল ভাঙা হয়।এসময় পুলিশের সাথেও ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৩ টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
উত্তেজনাকর পরিস্হিতিতে আদিতমারী বাজারের এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।সব বাসাবাড়ি দরজা বন্ধ থাকে।ঢাকা -বুড়িমারী মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে যান চলাচল শুরু হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ,ডিবি পুলিশ,ম্যাজিট্রেট উপস্থিত ছিলো।
আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মত আলী বলেন,বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করা হয়েছে।এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।আমাদের পক্ষে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন,রাবার বুলেট,টিয়ার সেল নিক্ষেপ হয়নি।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এনডিসি ফরিদ আল সোহান দায়িত্বে ছিলেন।নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো আদেশ নির্দেশ বা বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ হয়েছে কিনা,এনডিসি বলতে পারবেন।
এনডিসি ফরিদ আল সোহানকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।