{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের রাজনগরের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হত্যা মামলার ৮ আসামীর জামিন প্রাপ্ত হয়ে প্রকাশ্য ঘুরা-ফেরা করায় মামলার ভবিষ্যৎ ও ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার বাদীসহ ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানাযায়, রাজনগরে পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ-এর চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছানা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার মামলায় এজাহার নামীয় ১৫নং আসামী ইয়াবর মিয়া (৩৬), ১৭নং সাইদুল মিয়া (৫০), ১৮নং রুহুল আমিন (২৮), ২০নং ওলিউর রহমান (২৩), ২৩নং দুলু মিয়া (৪৮), ২৪নং মিনত আলী (৫০), ২৫নং কালাম মিয়া (৪৭), ২৬নং শাকিল মিয়া (২৬)নং আসামী— আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়ে প্রকাশ্য ঘুরা-ফেরা করায় মামলার ভবিষ্যৎ ও ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উক্ত মামলার বাদীসহ ভুক্তভোগীর পরিবার।
গত ১ সেপ্টেম্বর ৯জন এজাহার নামীয় আসামী মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক ৮জনের জামিন মঞ্জুর করেন। এবং এজাহার নামীয় ১৯নং আসামী-সিরাজুল ইসলাম (২৮)-কে কারাগারে প্রেরন করেন। জানা গেছে- গত ৯ আগস্ট কাশেম বাজার (মধুর দোকান) দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা (৫৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে গত ১৩ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান এর ভাই মো: কয়ছর বাদী হয়ে মো: টিপু সুলতান (৫৫), মো: পিন্টু সুলতান (৫১), ছয়ফুল আলম (৫০), তানভীর আহমদ লায়েক (৪৫), মো: সায়েক আহমদ (৩৬), তারেক আহমদ (৪০), জিয়াউর রহমান পিকার (৩৪), মো: শান্ত মিয়া (৪৫), মোজাম্মেল হক চায়না (৪৯), রাসেল আহমদ (৩৬), ইকু মিয়া (৩৩), জিকু মিয়া (৩১), অপু মিয়া (৩৮), নজরুল ইসলাম (৩৮), ইয়াবর মিয়া (৩৬), দিলাবর মিয়া (৩৩), সাইদুল মিয়া (৫০), রুহুল আমিন (২৮), সিরাজুল ইসলাম (২৮) (জেলা কারাগারে), ওলিউর রহমান (২৩), তৌফিকুর রহমান (২৪), রোশন মিয়া (৪০), দুলু মিয়া (৪৮), মিনত আলী (৫০), কামাল মিয়া (৪৭), শাকিল মিয়া (২৬)সহ আরো ১০০/১৫০জন-কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত চেয়ারম্যান এর বড় ভাই মো: কয়ছর, প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম কালু, জয়নুল ইসলাম, মজনু মিয়া, আব্দুল বাছিদ,ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো: নেছার মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন বলেন- এই ভাবে একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামীসহ অন্যান্য আসামীগণ প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। ৮জন এজাহার নামীয় আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়ে এখন হুমকি দিচ্ছে। একদিকে মামলার ভবিষ্যৎ ও ন্যায় বিচার নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছি। অপরদিকে তাদের ভয়ে পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন