{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
মোঃ জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,
মৌলভীবাজারের রাজনগরে আধিপত্য বিস্তারে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান লাশ দেখার জন্য নিহতের স্বজন সহ শতশত লোক বাড়িতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। চেয়ারম্যন সিরাজুল ইসলাম ছানা (৫০) নিহত হওয়ার দু’দিন হয়ে গেলেও পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট না হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছেনা। লাশ রয়ে গেছে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দু’ দিন ধরে থামছেনা স্বজনদের কাঁন্না। রাজনগর উপজেলার ‘মধুর দোকান’ বাজারে দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা (৫০) নিহত হন। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
নিহত চেয়ারম্যান ছানা পাঁচগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় গিয়ে শেষ হয়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মধুর বাজারের মহেশ দাসের দোকান লুট করা হয়। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনা চলছিল।
শুক্রবার সকালে মধুর বাজারে লুটকারীদের সাথে স্থানীয় আ’লীগ নেতা দেওয়ান মিয়ার ভাই ছুনু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি এলাকা ভিত্তিক রূপ নিয়ে রক্তা গাঁও ও কেওলা গ্রামের লোকজন একে অপরের মুখোমুখি হয়। রক্তা গ্রামের বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতানের নেতৃত্বে কেওলা গ্রামের আ’লীগ নেতা দেওয়ান মিয়ার লোক জনের সাথে মধুর বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় পিন্টু সুলতান নিহত সিরাজুল ইসলাম উপর গুলি ছুড়েন। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন সিরাজুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন গুলিবিদ্ধ ও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন।
এদিকে খবর পেয়ে মৌলভীবাজার ও রাজনগরের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আতিক (১৮), মহেষ দাস (৬০), রুহিত দাস (২২), লিটন দাস (২৩), অজিত দাস (২৬), হিমাংশু দাস (২৫), সুমন দাশ (২৫), সঞ্জিত দাস (৪৫), তারা মিয়া (৪২), দুরুদ মিয়া (৩০), মোক্তার মিয়া (৫৮), শাহজাহান (৩২), আওলাদ হোসেন (৫০), ফয়ছল আহমদ (২৯), সুলতান (৩২), আফান মিয়া (৩৫), বিপ্লব দাস (২৮), শহীদ মিয়া (৫০), লোকমান (৩৫), লিপুন মিয়া (৩৫), আজমল আলী (৫৫), লায়েক (৩৫), জিকু (২৬), জিলু (২৮), ভুট্টু (২৫), সোহেল (২৫), পাভেল (২২), মিনত (৫৫), দিলাবত (৩০), ইয়াবর (৩৬), নুরুল আমিন (২৮), তারিস আহমদ (৬০), জিতু (৬০), এরশাদ (৬০), দুলু মিয়া (৫০), কুনাই মিয়া (৫৫), আলম মিয়া (২৬), হুসাইন (২০), ইসলাম মিয়া (২০), নুরুল ইসলাম (২০), মাহিদ (১৫), মিন্টু (১৬), নাঈম (১৮), সুহেল (২০) সহ উভয় পক্ষে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের রাজনগর, মৌলভীবাজার ও সিলেট সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহীনির সদস্যরা অবস্থান করছে।
নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানার চাচাতো ভাই দেওয়ান মিয়া বলেন, আমার ভাইকে বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতান গুলি করে মেরে ফেলেছে। তারা আমাদের সব দোকান লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কি কারনে এই হত্যা কান্ড জানতে চাইলে বলেন, এটা তদন্ত ছাড়া বলা যাবেনা।
সংবাদটি শেয়ার করুন