মো. আবদুল হামিদকেই আবার বেছে নিল আওয়ামী লীগ । রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার বিকল্প আর কাউকে পাওয়া যায় নি। ৩১ জানুয়ারি বুধবার দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত হলো এটা ।
সভা শেষে রাত নয়টা ৪০মিনিটের দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংসদীয় বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সংসদীয় বোর্ডের সকলেই উপিস্থিত ছিলেন।
দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল বাতিল চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যাচলয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সে হিসেবে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সংবিধানের ৫০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। জনস্বার্থে সংবিধান রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমি এ নোটিশটি পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, যে সংসদ দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সে সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন আগামী ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছেন যা সংবিধানের ৩১, ৫০, ৫৪, ১২৩ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।’
‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বাতিল ঘোষণা না করলে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করবেন’, বলেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com