মোঃ আজমল হোসেন লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ধূমপান করে থাকেন বিশেষ করে বিভিন্ন ব্লান্ডের সিগারেট।
আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের আগেই রংপুর ও লালমনিরহাটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বেড়েছে। ফলে রংপুর থেকে শুরু করে লালমনিরহাট পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষুদ্র মুদির দোকানে সিগারেট সময় মত পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যে খুচরা বাজারে সব সিগারেটের শলাকা প্রতি দাম বেড়েছে এক থেকে ২ টাকা পর্যন্ত।
আসন্ন বাজেটে সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়বে কি বাড়বে না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু তার আগেই বাজারে বেড়ে গেছে সিগারেটের দাম।
লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনে ক্ষুদ্র একজন পান সিগারেটের দোকানদার দুলাল চন্দ্র রায় বলেন,ডিলার থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সব সিগারেটের বাড়তি দাম রাখতে শুরু করেছেন। দোকানে সিগারেট সেবন করতে গিয়ে লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি বাজারে বাসিন্দার মুসা মুরশেদ দাবি করেন বলেন,দোকানদার ধূমপায়ীদের কাছে বাড়তি মূল্যে সিগারেট বিক্রি করছে।
আগামী বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ার কথা শোনা যাচ্ছে বলেই সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তিনি আরো বলেন আমি যেহেতু একজন সংবাদ কর্মী তার কারণেই আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি নানা প্রাপ্তবয়স্ক ক্রেতা-বিক্রেতারা কাছ থেকে।
প্রতি বছরই জাতীয় বাজেটে বাড়ানো হয় তামাকপণ্যের দাম। আর এ কারণেই বাজেট ঘোষণায় আগেই সিন্ডিকেট করে সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাজেটে দাম বাড়বে এ আশায় সিগারেট দিচ্ছে না সিন্ডিকেট ডিস্ট্রিবিউটরা এমন দাবি খুচরা বিক্রেতা নাজমা স্টরের মালিক মোহাম্মদ রেজাউল ইসলামের। তিনি আরো বলেন, আমার মত শত শত খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, গত এক থেকে দুই সপ্তাহ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটররা সিগারেট সরবরাহ করছেন না ঠিকমত। তাই বাধ্য হয়ে ডিলারদের কাছ থেকে আগের দামের থেকে বেশি দামে সিগারেট কেনার ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।দাম বৃদ্ধির ফলে
রংপুর ও লালমনিরহাট সহ সারা দেশের নানান প্রাপ্ত বয়স্কদের ধূমপান করতে হলে
সিগারেট কিনতে হবে বেশি দামে ।
রংপুর ডিসির মোড় এলাকায় বাসিন্দার ফিরোজ আলী সিগারেট সেবনের জন্য দোকানে কিনতে গিয়ে সিগারেট কেনার পর সংবাদকর্মীকে অভিযোগ করে বলেন,
প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেট এক থেকে ২ টাকা বেড়ে এখন১৮ নিচ্ছে, আর গোল্ডলিফ এক টাকা বেড়ে ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিন্তু অনেক সময় ভাংটি ১ টাকা না থাকার কারন কে দায়ী করে ২ টাকা নেওয়া হচ্ছে ।আগে যে মার্লবোরো সিগারেট প্রতি শলাকা ১৬ টাকায় বিক্রি হতো বা আমরা কিনতাম, এখন তা বেড়ে ১৭ টাকা হয়েছে। তবে রয়েল, ডার্বি, হলিউড আগের দাম ৫ টাকায় বিক্রি হলেও কিছু কিছু জায়গায় ৬ টাকা পর্যন্ত ।
শহর ছেড়ে গ্রামের মুদির দোকানে আরো করুন অবস্থা, কারণ পরিবহন ব্যবস্থা ও ডিস্ট্রিবিউট জনবল কম থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ ঠিক মত পাচ্ছে না সিগারেট। ডিলার থেকে অল্প পরিসরে সিগারেট ক্রয় করে তারা বেশির থেকে ও বেশি দামে বিক্রি করছে।
আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে আর এই সময় সাধারণত তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এ কারণে রংপুর লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম সহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে জানা যায় এবং দেশের অন্যান জেলাগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ,প্রায় সারাদেশে এবার বেশ আগেভাগেই সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, গত বছর বাজেটের দুই-তিন দিন আগে দাম বেড়েছিল। কিন্তু এবার অনেক আগেই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা মতো সিগারেট মিলছে না। ডেলিভারি দেওয়া বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু ব্রান্ডের সিগারেট। এদিকে বাজেটের আগে সিগারেটের দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ ধূমপায়ীরা।
তবে বিভিন্ন সিগারেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, তারা নিয়মিত সিগারেট সরবরাহ করছেন। বাজেটের পর বাড়তি দাম পাওয়া যাবে এই আশায় সিগারেট লুকিয়ে রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারাই বাজারে তৈরি করছেন কৃত্রিম সংকট।
সংবাদটি শেয়ার করুন