২৯শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এসবিএন ডেস্ক:
একজনের অভিষেকই হলো এবার, তাতেই ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি। আরেকজন বিপিএলের চেনা মুখ, খেলেছেন আগের দুই আসরেও। সেই আবু হায়দার ও কেভন কুপারের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির সিংহাসন দখলের চূড়ান্ত দ্বৈরথ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও বরিশাল বুলসের ট্রফির লড়াইয়ের মধ্যেও এ লড়াইয়ের দিকে আলাদা করে চোখ না রেখে উপায় নেই।
ফাইনালটি খানিক এগিয়ে শুরু করবেন কুমিল্লার হায়দার। ১১ ম্যাচে ২১ শিকার তাঁর। কুপারও পিছিয়ে নেই খুব একটা। ৮ ম্যাচে তাঁর ২০ উইকেট। এ দুজনের লড়াইয়ে এগিয়ে যাবেন যিনি, ট্রফির পথে তাঁর দলও হয়তো এগিয়ে যাবে ততটাই।
ক্রিকেটার আবিষ্কারের জন্য বিপিএল খুব আদর্শ ক্ষেত্র নয়। তবু হায়দারকে বিপিএলের আবিষ্কার বলতেই হবে। তা যতই তিনি সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে ভিক্টোরিয়ার জার্সিতে ১৭ উইকেট নিন না কেন! বড় মঞ্চে এবারের জ্বলে ওঠা যে অন্য রকম! আর সেই প্রতিশ্রুতি ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে একেবারে প্রথম ম্যাচে, তাঁর প্রথম উইকেটে। কুমার সাঙ্গাকারাকে বোল্ড করা তো আর চাট্টিখানি ব্যাপার নয়!
এর পর থেকেই নেত্রকোনার ১৯ বছরের তরুণের তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া। বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে ডাকাবুকো সব ব্যাটসম্যানকে খাবি খাওয়ানো। এই তো ফাইনালে ওঠার ম্যাচটিতেও ৪ উইকেট শিকার হায়দারের। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আসহার জাইদি ম্যাচসেরা হয়েছেন হয়তো। তবে টানা দুই বলে রংপুরের দুই ওপেনারকে হায়দার আউট না করলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হলেই পারত। বিপিএলে যে ১১ ম্যাচ বোলিং করেছেন, এর মধ্যে একটিতে কেবল উইকেট পাননি। আজকের ফাইনালে তাই হায়দারের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার পক্ষে বাজি ধরাই যায়।
বাজির দরে অবশ্য পিছিয়ে থাকবেন না বরিশাল বুলসের কুপার। এ ক্যারিবিয়ান পেসার আগের দুই বিপিএলে চিটাগং কিংসে খেলে নেন যথাক্রমে ১১ ও ১৬ উইকেট। তবে এবারের মতো সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির রেসে ছিলেন না। এবারের বিপিএলের দলের দুই জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। শেষটাও কি রাঙিয়ে দিতে চাইবেন না কুপার!
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com