পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর স্বাগতিক জেলা হিসেবে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হওয়ার কথা শরীয়তপুরের।
কিন্তু সরু আর ভাঙা সড়কের কারণে সেতু উদ্বোধন হলেও কাক্সিক্ষত সুবিধা পাচ্ছে না জেলাটির মানুষ। তবে বিষয়টি নিয়ে বসে নেই সড়ক ব্যবস্থাপনায় জড়িতরা। দেরিতে হলেও শরীয়তপুরের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। গোটা শরীয়তপুর জুড়েই চলছে উন্নয়নযজ্ঞ। পদ্মা সেতুর নাওডোবা অ্যাপ্রোচ সড়ক হতে শরীয়তপুর সদর পর্যন্ত চার লেনের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অংশ হিসেবে আপাতত দ্রুত গতিতে ৩৪ মিটার প্রশস্তের দুই লেনের সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে শরীয়তপুর সওজ। সড়কটি নির্মাণ হলে জনভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। অন্যদিকে, শরীয়তপুর থেকে (মনোহরবাজার) নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ৩১ কিলোমিটার চার লেনের সড়কে পাল্টে যেতে শুরু করেছে গোটা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার পর শরীয়তপুর জেলার সংযোগ সড়ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে কাজীরহাট পর্যন্ত সড়কটি সরু ও গর্ত থাকায় যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি করেছে জনসাধারণ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পটির মূল নির্মাণ কাজ ২০১৪ সালে শুরু হলেও কেন শরীয়তপুরের সংযোগ সড়কটি এতো দিনে হয়নি। সেতু হওয়ার পরে কেন কাজ হচ্ছে।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর স্বাগতিক জেলা হলেও উদ্যোগের ফলে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছিল শরীয়তপুর। পদ্মা সেতু প্রকল্প শেষ হয়ে আসলেও সংযোগ সড়কের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হই আমি। পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ সংযোগ সড়কের কারণে পিছিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে শরীয়তপুর জেলা সদর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক করার জন্য সড়ক ও সেতু বিভাগ সচিবকে চাহিদাপত্র দেই আমি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকেই যেন শরীয়তপুর জেলার মানুষ সেতুর সুবিধা ভোগ করতে পারেন এজন্য সংযোগ সড়কটি দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করেন উপমন্ত্রী।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের মানুষ সড়কের সুফল না পাওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত। পদ্মা সেতুর প্রথম থেকে উদ্যোগ নিলে আগেই রাস্তা হয়ে যেত। আগে উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমি উপমন্ত্রী হবার পরই বাকি দুই আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবং নাহিম রাজ্জাককে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করি। কোভিডের মধ্যেও টেন্ডার হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। আমরা দ্রুততার সাথে কাজ করছি, কাজ চলমান আছে, শরীয়তপুরবাসী সুফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
সংবাদটি শেয়ার করুন