প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুস সাত্তার
বাংলাদেশে এ মূহুর্তে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়কের কোথাও কোনো অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে না। সকলের মনেই স্বস্তি ফিরে এসেছে স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য যে, ট্রাফিক পুলিশ যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের জায়গায় ফিরে যেতে হবে। অনেকের আশঙ্কা যে, সড়কে আবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়া শুরু হবে। বিগত ৫০ ধরে দেখেছি এই ২/৩ দিনের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থায় এমন চমৎকার শৃঙ্খলা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এই চমৎকার ব্যবস্থাটি আবারও ভেঙে েযা সংগত কারণেই। কারণ পথচারী, গাড়ি চালক, রিক্সাচালক, কেউই ট্রাফিক পুলিশকে মেনে চলে না, মানাতে পারেনা তাদের নৈতিক স্খলনের জন্য। আজকের এই সুষ্ঠু ব্যবস্থাটিকে বজায় সহ আরো একটি জায়গা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়োজিত করা যেতে পারে। আমার প্রতীতী জন্মেছে যে, চলমান অস্থিতিশীল বাজারকেও তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। আমরা জানি শুধু মাত্র সততা ও নিষ্ঠার অভাবে বর্তমান বাজার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, সিণ্ডিকেট সৃষ্টি হয়েছে। বাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সরকারের জন্য নাজুক। ২/৩ দিনের দৃশ্যমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আলোকে নিম্নে উদ্ধৃত সুপারিশটি বিবেচনা করতে পারেন খুব অনায়াসেই দেশে বাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। আমি এও বিশ্বাস করি ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি যে, শিক্ষার্থীদের এই দুটি জায়গায় নিয়োজিত করতে পারলে সুফল বয়ে আনবেই।
সুপারিশ:
১. খণ্ডকালীন সময়ের জন্য (৪-৫ ঘন্টা) শিক্ষার্থীদের নিয়োজিত করার বিষয়টি যৌক্তিকভাবে চিন্তা।
২. বিশেষ করে যারা কেবল আগ্রহী হবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অবসরে।
৩. বিশেষ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য।
৪. কর্মঘন্টা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পারিতোষিক প্রদান করতে হবে।
৫. এতে শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশনির একটা বড়ো অংশ নিজেরাই বহন করতে সক্ষম হবে যা অভিভাবকদের উপর সামান্য হলেও চাপ হ্রাস পাব।
৬. শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময়টি বাজেভাবে নষ্ট না করে জাতীয় কাজে ব্যয় করতে পারবে।
৭. শিক্ষার্থীদের নিয়োগের ফলে যোগাযোগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা যেমনি বজায় থাকবে, তেমনিভাবে ঘুষ গ্রহণ, অতি মুনাফা, নৈরাজ্য সৃষ্টি, যানজট, বাজার সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে একবারে ১০০%।
৮. অসৎ পুলিশের নৈরাজ্য হ্রাস পাবে এবং সিন্ডিকেট বিলোপ সাধনে শতভাগ সাফল্য আসবে।
৯. এর ফলে ট্রাফিক পুলিশ ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের সৎকর্ম তৎপরতা বহুলাংশে বৃদ্ধি।
১০. জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণাধীন হলে কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি বোধ করবে।
১১. সর্বোপরি সরকার একটা আদর্শ বাজার ব্যবস্থা ও একটি সুশৃঙ্খল যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
পরিশেষে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কর্মের প্রবর্তন করলে একদিকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়নে অনেক বেশি মনোযোগী হতে পারবে। পক্ষান্তরে অস্বচ্ছল অভিভাবকরা নিশ্চিন্ত জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে। একইভাবে সরকার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও সম্ভাবনয় দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ও অন্যকোনো সুপারিশ থাকলে সংযুক্ত করবেন।
০৯ আগস্ট ২০২৪
সময়: ৪:৩৯
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com