২৯শে মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
২০০৩ থেকে ২০১৫—এক যুগ দক্ষিণ এশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব পায়নি বাংলাদেশ। শিরোপা দূরের পথ, গত দুই আসরে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোয়নি লাল-সবুজ। এবার আচমকাই যেন হাওয়া বদলে গেছে। কোচ, খেলোয়াড় সবার মধ্যেই শ্রেষ্ঠত্ব ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়। বাজিটা মূলত মারুফুল হকের। আজ কেরালার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আমি এই একটা টুর্নামেন্টের জন্যই নিয়োগ পেয়েছি। তাই জুয়া আমি খেলবই, কোনো ঝুঁকি নিতেও আমার ভয় নেই। শিরোপা জয় ছাড়া এই আসর স্মরণীয় করে রাখার আর কোনো উপায় যে নেই আমার কাছে।’নিজের এই জেদ, মানসিকতাই খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভরসার জায়গা আসলে খেলোয়াড়রাই, ‘এই দলের ৯৫ ভাগ খেলোয়াড়কেই আমি আগে থেকে চিনি। তাদের নিয়ে আমার অনেক সাফল্যও আছে। ঝুঁকিটা নিতে তাই আমার সাহসের কোনো কমতি হচ্ছে না।’ ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জেতার যে কৃতিত্ব, তাঁর সেই অভিযানেই যে ছিলেন এই দলের সিংহভাগ ফুটবলার। মারুফুলের অধীনেই খেলোয়াড়রা নতুন করে উদ্দীপ্ত হয়েছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কণ্ঠেও তেমন আভাস, ‘দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় কঠোর পরিশ্রম করেছে গত ১৮-২০ দিন। আমাদের একটাই লক্ষ্য সাফের শিরোপা জেতা। মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে এই মুহূর্তে আমরা পুরোপুরি তৈরি এ আসরের জন্য। আশা করি, টুর্নামেন্টেও আমাদের নিবেদনের কোনো ঘাটতি হবে না।’ প্রস্তুতি নিয়ে মারুফুলের বিশ্লেষণ, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে যা যা ভুল হয়েছে টুর্নামেন্টে গিয়ে সে রকম কিছু হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগেই খেলোয়াড়দের রিকভারি হয়ে যাবে আশা করছি। সেই ম্যাচে আমার পরিকল্পনার ৬০ ভাগও যদি ওরা মাঠে করে দেখাতে পারে, আশা করি আমরাই জিতব।’ কোচের মতে গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জেতাই হবে অর্ধেক টুর্নামেন্ট জেতার সমান, ‘ওদের খেলার ধরন, শক্তিমত্তা নিয়ে প্রস্তুতিতে বিশদ কাজ করা হয়েছে। এই ম্যাচটাই আমাদের জন্য আসরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।’ গ্রুপ পর্বের অন্য দুই প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ ও ভুটান। ভুটানিদের নিয়ে ততটা না ভাবলেও ‘অভিজ্ঞ ও মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া মালদ্বীপ’-এর বিপক্ষে সতর্ক থাকারই পরামর্শ তাঁর খেলোয়াড়দের।
তবে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ছাড়াও মামুনুলদের ‘গোল করে রক্ষণাত্মক না হয়ে পড়ার’ মানসিক চ্যালেঞ্জটাও উতরাতে হচ্ছে এ আসরে। নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও যা ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। মামুনুলের প্রতিশ্রুতি সাফে আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার। তবে রক্ষণেও যে এই মুহূর্তে ভালো করছে দলটি, সেটিও ইতিবাচক দিক তাঁর চোখে। গোল স্কোরিংয়ে এত দিন বড় সমস্যা ছিল। মারুফুল দলে নিয়েছেন দুজন মাত্র সেন্টার ফরোয়ার্ডকে, তবে এই কোচের বিশ্বাস তাঁর কৌশল বিফলে যাবে না, ‘আমি একজন সেন্টার ফরোয়ার্ডের বেশি খেলাব না, সে জন্যই বাড়তি স্ট্রাইকার নেইনি। তা ছাড়া মিডফিল্ডে এবং ডিফেন্সেও আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা প্রয়োজনের সময় গোল করার সামর্থ্য রাখে।’ নির্দিষ্ট কোনো ফরম্যাটেও তাই আবদ্ধ থাকার পক্ষে নন মারুফুল, জানিয়েছেন ৪-৪-২, ৪-২-৩-১ বা ৪-৩-৩-এ খেলাতে পারেন তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী।
শিরোপা জিততে এতটাই মরিয়া মারুফুল।
Editor in Chief
Contact: 017111-66826
National Desk In-charge
Sumon Suddha
Contact: 01710010218
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com