সদরুল আইনঃ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মির্জা ফখরুলরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্য নিয়ে বিদেশীদের তাবেদারি করছে।
তারা চায় যে কোন মূল্যে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে পুনরায় ৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর দেশে যেভাবে তারা সেনা শাসন কায়েম করেছিল ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
তারা আবার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতায় গিয়ে দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করতে চায়।
শনিবার বিকালে শ্যামপুর বালুর মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনের (শ্যামপুর-কদমতলী থানা) ৭টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইউনিটসমূহের যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকালকে সিরাজগঞ্জে মির্জা ফখরুলের উপস্থিতিতে তরুণদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানে বিএনপির এক যুগ্ম সম্পাদক মির্জা ফখরুলের সামনেই বলেছে তাদের আন্দোলন, সংগ্রামের লক্ষ্য হলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। মির্জা ফখরুল সাহেব এবার কি বলবেন।
এটাও কি মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে? তাদের একমাত্র মাত্র লক্ষ্যই হলো জাতির পিতার কন্যাকে হত্যা করা। এটাই হলো তাদের আন্দোলন। তাদের সব ষড়যন্ত্র জাতির পিতার কন্যাকে নিয়ে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কিছুদিন আগে রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ বলেছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলেই নাকি তাদের আন্দোলন সফল হবে এবং তাকে হত্যা করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপি নেতারা বলেছে এটি নাকি মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। এটা তাদের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটাই তাদের একমাত্র রাজনীতি। তাদের টার্গেট হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করা। আমাদের নেত্রী স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন।
তিনি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভিসা নীতি নিয়ে এমন একটা ভাব দেখায় যেন তাদের কথায় ভিসা নীতি হয়েছে। মনে হচ্ছে আমেরিকার ভিসা নীতির প্রবক্তা বিএনপি। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ কারো হুমকিতে ভয় পায় না।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
সংবাদটি শেয়ার করুন