‘শ্রমিক এবং মালিক পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয়। বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেক শ্রমিকের ঘরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল পৌঁছাতে হবে। আর এজন্য শ্রমিক, মালিক, সরকার ও বেসরকারি সংস্থা-এ চার পক্ষকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে।’ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বুধবার দুপুরে রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহায়তায় ‘ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার’র ট্রাস্টি বোর্ডের আয়োজনে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও সেবা বেগবান করতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ‘ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামের কৃষি শ্রমিক, পোষাকশিল্প শ্রমিক ও প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতির তিন প্রধান স্তম্ভ; সে কারণে, এদের কল্যাণের অর্থ দেশের কল্যাণ।
শিল্প ক্ষেত্রে সুশাসনের জন্য শ্রমিক ও কারখানার স্বার্থে উভয়েই রক্ষা করার বিকল্প নেই উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, শ্রমিক এবং মালিক পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয় এবং শ্রমিক ও কারখানা উভয়ের স্বার্থই ট্রেড ইউনিয়ন রক্ষা করে। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সকল শ্রমিককে ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় আনা এবং শ্রমিক-মালিক সুস্থ সম্পর্ক একান্ত জরুরি।’
‘শ্রমিকদের ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করা কখনো শিল্পের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না, শ্রমিক দয়ার পাত্র নয় বরং উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এসময় শ্রমিক কল্যাণে নারী শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্যরক্ষা, সুস্থ কর্মপরিবেশ, কারখানার নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
‘ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার (ডব্লিউআরসি)’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আলোচকদের মধ্যে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি কিশোর কুমার সিং, ডব্লিউআরসি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এড. দেলোয়ার হোসেন খান, ‘ইন্ড্রাস্টি-অল বাংলাদেশ কাউন্সিলে’র মহাসচিব মোঃ তৌহিদুর রহমান, শ্রমিক শিক্ষা জাতীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ অংশ নেন। ডব্লিউআরসি’র ওপর উপস্থাপনা পেশ করেন সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম।
সংবাদটি শেয়ার করুন