১৩ই এপ্রিল ২০২১ ইং | ৩০শে চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
পংকজ কুমার নাগ
পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলের প্রধান প্রধান প্রতিটি সড়ক ও শহরতলীর প্রতিটি সড়কে দেদারসে চলছে অটোরিকশা, টমটম, ইজিবাইক। অথচ এদের নেই কোন সরকারি লাইসেন্স বা নিবন্ধন। এতে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরতলী ঘুরে দেখাযায়, প্রায় ৩ হাজার অটোরিকশা, টমটম ও ইজিবাইক চলছে শহরের বিভিন্ন রুটে। এদের একটিরও কোন সরকারি বা আধা সরকারি বৈধ লাইসেন্স নাই। কিন্তু সকল অটোরিকশার গায়ে ষেটে রয়েছে বিভিন্ন রঙের স্টিকার।
প্রত্যেকটি অটোরিকশার গায়ে লাগানো বিভিন্ন রঙের এই স্টিকার গুলোর বিনিময়ে বিভিন্ন রুটের প্রত্যেকটি ড্রাইভারকে, প্রতি মাসে গুনতে হয় ৩ শত টাকা করে। কিন্তু এই ৩ হাজার অটোরিকশার প্রত্যেকটির মাসিক ৩ শ টাকা করে মাসোহারা কে নিচ্ছে বা কোথায় যাচ্ছে, এ সম্পর্কে কেউ অবগত নন।
অটোরিকশা চালকদের কাছে প্রশ্ন করলে তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননা। কারন, তাদেরও রয়েছে রোজগার হারানোর ভয়। স্টিকার না পেলে সেই অটোরিকশাটিও চলতে পারবেনা শহরে। ফলে ড্রাইভারটিও হয়ে পড়বে বেকার, বাড়বে অপরাধ প্রবনতা।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষথেকে কিছুদিন পরপরই ঘোষণা আসে শহরের প্রধান সড়কে ইজিবাইক, অটোরিকশা, টমটম চলতে পারবেনা। কিন্তু সাত দিন এই নজরদারি চলে, এরপর থেকেই আবার আগের অবস্থানে ফিরে যায় শহরের পরিস্থিতি।
ইজিবাইক, অটোরিকশা, টমটম বর্তমান ডিজিটাল দ্রুত সমাজব্যবস্থায় একটি অপরিহার্য বাহন। এই বাহন ছাড়া জনগণের প্রাত্যহিক চলাফেরা এ যুগে প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া এসব অটোরিকশা, টমটম, ইজিবাইক অবৈধ ঘোষণা করে দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। যা সমাজের অপরাধ প্রবনতাকেই বৃদ্ধি করবে, সমাজের উপকারে আসবেনা বলেই মনেকরেন শহরের শিক্ষিত বিদগ্ধজনেরা।
তাই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, এসকল অটোরিকশা, ইজিবাইক, টমটমকে সরকারি বৈধতা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে আনা হউক যেন, সরকার এর থেকে রাজস্ব পায়, অবৈধ টাকা খাওয়া বন্ধ হয় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কোন সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ যেন বেকার না হয়ে পড়ে।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766