এসবিএন নিউজ: সংস্কৃত ও পালি শিক্ষক জন প্রতি মাসিক বেতন ১৪৯.৫০ টাকা ও অফিস সহায়ক জন প্রতি ৭৮ টাকা থেকে যুগোপযোগী ও সম্মানজনক হারে বৃদ্ধির আবেদন।
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার রূপকার ও উন্নয়নের মানস কন্যা, দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি সবিনয় নিবেদন যে-
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম সংস্কৃত ও পালি ভাষায় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থ ও পুস্তক রচিত হওয়ায় উক্ত ভাষায় নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য্য।
দেশে সংস্কৃত ভাষার ১৩২টি বিদ্যাপীঠ ও পালি ভাষার ৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান- মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা’র পরিচালনায় প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী ২০১৫ইং সনের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এ বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সেবারত প্রবীণ ও প্রাজ্ঞ পন্ডিতগণ দেশের ভাষাগত ঐতিহ্য রক্ষা, ছাড়াও হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দান করে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধের উৎকর্ষতা সাধন করছেন।
শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষকের শূন্যতা পূরণ করছেন। সংস্কৃত ও পালি ভাষায় শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকগণ মাসিক জন প্রতি ১৭৯.৪০(একশত ঊনআশি টাকা চল্লিশ পয়সা) এবং অফিস সহায়ক ৭৮(আটাত্তর) টাকা হারে বেতন পেয়ে আসছেন।
তারা সমাজে শিক্ষক হিসেবে আখ্যায়িত হলেও প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষকদের সাথে তুলনার যোগ্য নয়; বরং এটি অপমানজনক।
সংস্কৃত ও পালি ভাষায় ধর্মীয় বিষয়াদি ছাড়াও রয়েছে সাহিত্য, ব্যাকরণ, জ্যোতিষশাস্ত্র, সংস্কৃতি, নাট্য ও চারুকলা, মহাকাব্য ও প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র প্রভৃতি।
আমাদের মাতৃভাষা চর্চায় সংস্কৃত ব্যাকরণ যেমন আবশ্যক। তেমনি দেশের ভাষাগত ঐতিহ্য এবং সমাজে নৈতিকতার উৎকর্ষ সাধনে অপরিহার্য। সনাতন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থাদি পাঠ ও দৈনন্দিন ধর্মীয় ক্রিয়াদি সম্পন্ন করতে সংস্কৃত ও পালি ভাষাজ্ঞান আবশ্যক। সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতিতে সংস্কৃত ও পালি ভাষার প্রচার-প্রসার, উন্নয়নে আন্তরিকতার কথা ব্যক্ত করেছেন।
অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিবেদন যে, সংস্কৃত ও পালি ভাষা সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো গতিশীল ও শিক্ষাদান কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার নিমিত্ত সময়োপযোগী ও সম্মানজনক বেতন স্কেল নির্ধারণ এবং এই অবহেলিত শিক্ষা বোর্ডকে অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের সমমর্যাদায় পুনর্গঠনে আপনার কৃপাদৃষ্টি একান্তভাবে কামনা করছি।
পরম করুণাময়ের নিকট দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আপনার সুস্বাস্থ্য ও সুদীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করছি।
লেখক- ড. দিলীপ কুমার দাশ চৌধুরী, অধ্যক্ষ, শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ, সিলেট।
সংবাদটি শেয়ার করুন