২৯শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
এসবিএন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত হবে কি না, তা জানা যাবে সোমবার।
এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে বাদ রেখে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি জানিয়ে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা নারাজি আবেদন নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে এই আবেদন করেন তিনি।
গত ৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষে বুধবার আদেশের দিন ধার্য থাকলেও বিচারিক আদালতের একটি নথি হাই কোর্টে না দেওয়ায় আদেশের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ আদেশের জন্য ১৪ ডিসেম্বর নতুন তারিখ রেখে নারাজি আবেদনের বিষয়ে হাকিম আদালতে বাদী বিউটির দেওয়া বক্তব্যের নথি জমা দিতে নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর তাদের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাওয়া যায়।
তখন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই সঙ্গে র্যাবের কর্মকর্তাদেরও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলে নজরুলের পরিবার।
তদন্তে র্যাবের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ উঠে আসার পর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আলোচনায় ওঠে এই হত্যাকাণ্ড।
প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ, যাতে বাদ পড়েন এজাহারের পাঁচ আসামি।
এজাহারভুক্ত আসামিদের বাদ দেওয়ায় অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে নারাজি আবেদন করেন বাদী সেলিনা। নারায়ণগঞ্জের হাকিম ও জজ আদালত তা খারিজ করে দেওয়ার পর ২৩ নভেম্বর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
তালিকা থেকে বাদ পড়া এই পাঁচ আসামি হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী হাসু, আমিনুল ইসলাম রাজু, আনোয়ার হোসেন আশিক ও ইকবাল হোসেন।
হাই কোর্টে বিউটির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার ও মন্টু ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
২৯ নভেম্বর শুনানিতে মামলার অভিযোগপত্রে ‘ত্রুটি রয়েছে’ বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিলেও অধিকতর তদন্তের ফাঁকে বিচার যাতে বিলম্বিত না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেন বিচারক।
সাত খুনের ঘটনার পর হাই কোর্টের নির্দেশেই র্যাবের তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রশাসন তদন্ত কমিটিও করে আদালতের নির্দেশে।
সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত এই তিন কর্মকর্তা ছাড়া আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন নূর হোসেন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার, র্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর।
র্যাবের সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান পলাতক।
এছাড়া নূর হোসেনের সহযোগী বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার সেলিম ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com