ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদকে গ্রেপ্তারের কথা জানানোর পর এখন তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে ।
চার মাস আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ এই বিএনপি নেতার আচরণ খুব রহস্যজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ । এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ২০১৫ সালের অগাস্টে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রমনা থানার একটি মামলায় সাদাত আহমেদকে তারা গ্রেপ্তার করেছেন।
তাকে আজ দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হবে। ওই মামলার অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ব্যবসায়িক গ্রুপ এবিএন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত আহমেদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি। বিএনপির বিগত কমিটিতে নির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি।
সাদাতকে গত ২২ অগাস্ট কয়েকজন তুলে নিয়ে যায় বলে তার স্বজনরা জানিয়েছিলেন। তার চার মাস পর শনিবার রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
এই বিএনপি নেতা নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এ এম এম আমিনুর রহমানও নিখোঁজ হয়েছিলেন। গত সপ্তাহে তাকে উদ্ধারের কথা জানানোর পর তাকেও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
সাদাতকে ‘তুলে নেওয়ার পর’ তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ওই দিন বিকালে ছেলে মেহেদী জামান ও বাসার কেয়ারটেকারকে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সাদাত আহমেদ। বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি মাইক্রোবাস তাদের পথরোধ করে এবং মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন এসে সাদাতকে জোর করে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়।
এরপর ওই মাইক্রোবাসের একজন এসে সাদাতের গাড়ির চালকের আসনে বসেন। দুটি গাড়িই কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ ফুট রাস্তা দিয়ে পূর্বাচলে গিয়ে থামে। সাদাতের গাড়িতে ওই সময়ও তার ছেলে মেহেদী ও কেয়ারটেকার ছিল। পূর্বাচলে সাদাতের গাড়ি থেকে ওই ব্যক্তি নেমে যায়। সাদাত ১৫ মিনিট পর ফিরে আসবেন বলে তার ছেলেকে বলে যান তিনি।
পরে ওই মাইক্রোবাস নারায়ণগঞ্জের দিকে চলে যায় বলে নাতির বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে ২৭৫/জি নম্বর ভবন কনকর্ড রয়েল কোর্টের চতুর্থ তলায় সাদাতের এবিএন গ্রুপের করপোরেট কার্যালয়। এই গ্রুপের অধীনে এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক, এবিএন এভিয়েশন, এবিএন ট্রাভেলস, এবিএন কার্গো, এবিএন প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কফি চেইন সুগার এন স্পাইস পরিচালিত হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন