কামরুজ্জামান হিমু
ঢাকার কাছেই সাভার ও মানিকগঞ্জে প্রাপ্ত ভুগর্ভস্থ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে আগামী বছরের মার্চ মাসেই । সেখানে বড় দুটো ভাণ্ডার বা ‘একুইফার’ পাওয়া গিয়েছিল ।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এ দুটি ভান্ডারের উৎস হচ্ছে হিমালয় পর্বতমালার একটি হিমবাহ। সেখানে প্রায় ৪০ বছর ব্যবহার করার পানি জমা আছে এবং তা এখনো আসছে অর্থাৎ ‘পুনর্ভরণ’ হচ্ছে, তাই এই দুটো খনির পানি কখনোই ফুরাবে না।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ২০১৮ সালের মার্চ নাগাদ ঢাকার মিরপুর এলাকায় এই খনির পানি সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন।
ঢাকার কাছে সাভারের তেঁতুলঝরা ভাকুর্তা এলাকায় একটা পানির খনি আছে। ২০০৯ সালে ঢাকার কাছে সাভার ও মানিকগঞ্জে দুটো ‘একুইফার’ বা ভূগর্ভস্থ পানির ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়।
একই রকম আরেকটি পানির ভান্ডার আছে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। এই ইকুইফার প্রায় ৬০০ ফিট নিচে আছে। যার বিস্তৃতিও অনেক খানি। সেখানে প্রায় ৪০ বছর ব্যবহার করার মতো পানি জমা আছে, যদি ১৫/২০ কোটি লিটার করে তা উত্তোলন করা হয়।
২০০৯-১০ সালের মধ্যেই এ জরিপ শেষ হয় এবং তখন সিদ্ধান্ত হয় যে এই পানি মিরপুরে পাইপলাইন দিয়ে মিরপুরে নিয়ে আসা হবে, কারণ সেখানে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।
এ পানি সম্পূর্ণই খাবার উপযুক্ত তবে এতে আয়রনের মাত্রা বেশি তাই সেটা দূর করার জন্য সেখানে একটা প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসা ইতোমধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে মাটির ওপরের উৎসজাত পানির দিকে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকার ৭০ ভাগ পানি মাটির ওপরের উৎস থেকে আসবে- যা পরিবেশ বান্ধব।
সংবাদটি শেয়ার করুন