ঢাকা ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় স্কুলছাত্র খুন তিনজনের ‘দায় স্বীকার’

abdul
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০, ২০১৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় স্কুলছাত্র খুন তিনজনের ‘দায় স্বীকার’

এসবিএন ডেস্ক:
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় স্কুলছাত্র পুলক চন্দ্র রাউত (১৪) হত্যা মামলায় আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিয়েছে তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-ই-খোদা তাদের জবানবন্দি নেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়া তিনজন হলো পুলকের সহপাঠী দুই ভাই আবদুল কুদ্দুস (১৪) ও শাহাব উদ্দিন সাবু (২১) এবং তাদের বন্ধু স্বপন বিশ্বাস (২১)। এ তিনজনের দুজন সাবু ও কুদ্দুস চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর স্বপন বিশ্বাস জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

জবানবন্দি শেষে কিশোর অপরাধী সাবু ও কুদ্দুসকে সিলেট নগরীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর অপরাধী স্বপন বিশ্বাসকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

এসআই মিন্টু জানান, আদালতের কাছে এ তিনজন পুলক খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

গত শুক্রবার বাউরভাগ পুঞ্জিগ্রামের দুলি বিশ্বাসের ছেলে স্কুলছাত্র পুলক চন্দ্র রাউতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বন্ধু আবদুল কুদ্দুস ও শাহাব উদ্দিন সাবুকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার হয়। তারা জানায়, তিনবন্ধু মিলে পুলককে তারা হত্যা করে। পরে স্বপন বিশ্বাসকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

খুন হওয়া পুলক চন্দ্র রাউত জৈন্তাপুরের চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ১০ ডিসেম্বর সারিঘাট বাজারের উদ্দেশে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। পুলক নিখোঁজের পর তার বাবা জৈন্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলক নিখোঁজের পেছনে হাত থাকতে পারে এমন সন্দেহে এলাকার লোকজন কুদ্দুস ও সাবুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন জানায়, তারা পুলককে হত্যা করে পাখিটিকি এলাকার ভূঁইয়া ফিশারিজের পাশে একটি ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে লাশ চাপা দিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930