১১ই আগস্ট ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৮
সিলেট শহরে টিলাগড় গোপাল টিলায় মন্দির নেই । এ অবস্থায় গত ৭ বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসনা সেখানে একটি মন্দির স্থাপনে এবং সিলেটের সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়সহ দেবত্তোর সম্পত্তি রক্ষার । এক কুচক্রি মহল, ভূমিদস্যু, সাস্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ও অপশক্তি হতে রক্ষার জন্যে এবং মন্দির নির্মাণে রাষ্ট্রপতির হস্থক্ষেপ কামনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে ৬ মে ।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, । ১৯৭১ সালে একটি অসাম্প্রদায়িক এবং সর্বধর্ম স্বীকৃত সোনার বাংলা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । গোপাল টিলায় মন্দিরহীন অবস্থায় সনাতন ধর্মালম্বীরা বিগত ৭ বছর যাবত শ্রী শ্রী গোপালের পূজা, সেবা-অর্চণা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে আপনার যথাযথ হস্তক্ষেপ গ্রহনে এবং নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অাপনার সার্বিক সহযোগীতা সিলেটের সকল ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মালম্বীদের কামনা । যা সিলেটের সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়সহ দেবত্তোর সম্পত্তি একদল বিশেষ কুচক্রি মহল, ভূমিদস্যু, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী, সাস্প্রদায়িক শক্তি হতে রক্ষায় আপনার হস্তক্ষেপ বিশেষ অবদানে আমাদের কৃতার্থ করবেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল পূর্বের মন্দির নতুন করে তৈরীর জন্যে উন্নয়নকল্পে মাটি খনন করা হয়। এতে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক টিলার মাটি কাটা সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় (স্থগিতাদেশ) মাহামান্য হাইকোর্ট। তৎকালীন বিষ্ণুপদ দে গং কে জরিমানাও করা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল এর আরো ছবি।
বিগত প্রায় ৭ বছরের মধ্যে গোপাল টিলা শ্রী শ্রী গোপাল জিউর আখড়া এলাকার অধিবাসী প্রায় হাজারো মানুষের গণস্বাক্ষর বর্তমানে মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে সমাজসেবী দীপক রায় কে দেয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস হতে সাবেক বিচারক ঝুমুর গাঙ্গুলীকে সভাপতি ও দীপক রায় সাধারণ সম্পাদক করে নেয়া গণস্বাক্ষরের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ তুলে নুতন করে যাতে মন্দির নির্মাণ করা যায় তার আবেদন করা হয় ২২ মার্চ ।
আদালত সুত্রে ও সাবেক বিচারক ঝুমুর গাঙ্গুলীর পুত্র জনলা নন্দী পলিন মারফত জানাযায়, মন্দিরের কাজ স্থগিত রাখার জন্যে মহামান্য হাইকোর্টে একদল কুচক্রি মহল এর বিরোধিতা করে আসছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনকারী সংবাদ কর্মী সুমন দে ও সমাজ কর্মী দীপক রায় জানান, আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি সহ, প্রধানমন্ত্রী, সিলেট- ১ আসনের মাননীয় মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার সহ সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আমাদের এলাকাবাসীর এবং সিলেটের ঐতিয্যবাহী গোপালটিলায় মন্দিরহীন অবস্থায় আমাদের সিলেটবাসীসহ সকল সনাতন ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্যে কষ্টের।
তারা আরো জানান, হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ মাটি খননে, মন্দির সংস্কার করতে কোন বাঁধা নেই। আসলে ২০১২ সালেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পুরাতন মন্দির। সংস্কার করার কোন সুযোগ নেই, এখন নতুন করে নির্মাণ করতে গেলে মন্দিরের স্তম্ভ স্থাপনে যতটুকু মাটি খনন করা প্রয়োজন তা করতেই হবে। তাই মন্দির নির্মাণে রাষ্ট্রপতির হস্থক্ষেপ চাইছি।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com