১৪ই এপ্রিল ২০২১ ইং | ১লা বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২২, ২০১৮
সিলেটে গোপালটিলায় শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির নির্মাণে হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে । সিলেট নগরির টিলাগড় এলাকায়, গোপাল টিলায় মন্দিরহীন অবস্থায় বিগত ৭ বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীদের বাসনা যে, মন্দির স্থাপনে এবং সিলেটের সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়সহ দেবত্তোর সম্পত্তি রক্ষার । একদল বিশেষ কুচক্রি মহল, ভূমিদস্যু, সাস্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ও আপশক্তি হতে রক্ষার জন্যে এবং মন্দির নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্থক্ষেপ কামনা করে আবেদন করা হয়েছে কুরিয়ারের মাধ্যমে ।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, “ প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাই সিলেটের সনাতন ধর্মালম্বীদের পক্ষ হতে, বাংলাদেশ, এশিয়া এবং এশিয়া প্যাসিফিক এলাকার নারী শিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য ‘গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কৃত হওয়ায়। ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীন বাংলাকে একটি অসাম্প্রদায়িক এবং সর্বধর্ম স্বীকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের।”
‘সিলেট নগরির গোপাল টিলায় মন্দিরহীন অবস্থায় সনাতন ধর্মালম্বীরা বিগত ৭ বছর যাবত শ্রী শ্রী গোপালের পূজা, সেবা-অর্চণা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দগণ । উক্ত বিষয় আপনার যথাযথ নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ গ্রহনে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার সার্বিক সহযোগীতা সিলেটের সকল ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মালম্বীদের কামনা । যা সিলেটের সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়সহ দেবত্তোর সম্পত্তি একদল বিশেষ কুচক্রি মহল, ভূমীদস্যু, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী, সাস্প্রদায়িক শক্তি হতে রক্ষায় আপনার হস্তক্ষেপ বিশেষ অবদানে আমাদের কৃতার্থ করবে। সেই সাথে রক্ষা হবে সিলেটের ঐতিয্যবাহী গোপাল জিউর আখড়ার দেবত্তোর সম্পত্তিসহ সিলেটে সনাতনি ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ ও সাথে করে সনাতনত ধর্মালম্বীরা বিলুপ্তি হতে রক্ষা হবে। নির্ভিঘ্নে সিলেটসহ সমস্ত দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেন ধর্মীয় আচার-বিধী, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মন্দির নির্মাণ, উপাসনালয়ে উপাসনা করতে পারে, প্রশাসনিক সহযোগীতা বৃদ্ধি এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের অসাম্প্রদায়িক ক্ষমতাসীন দলের সে দিকে বিনম্র ভাবে আপনার নির্দেশনা প্রদানের জন্য আকুল আবেদন রাখছি।’
বিগত প্রায় ৭ বছরের মধ্যে সকল গোপাল টিলা শ্রী শ্রী গোপাল জিউর আখড়া এলাকার অধিবাসী প্রায় হাজারো মানুষের গণস্বাক্ষর বর্তমানে মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে সমাজসেবী দীপক রায় কে দেয়া হয় । ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস হতে সাবেক বিচারক ঝুমুর গাঙ্গুলীকে সভাপতি ও দীপক রায় সাধারণ সম্পাদক গণস্বাক্ষরের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ তুলে নুতন করে মন্দির নির্মাণ করা যায় তার আবেদন করা হয় ২২ মার্চ । ২২মার্চ হতে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে ।
সাবেক বিচারক ঝুমুর গাঙ্গুলীর পুত্র জনলা নন্দী পলিন মারফত জানাযায়, মন্দিরের কাজ স্থগিত রাখার জন্যে মহামান্য হাইকোর্টে একদল কুচক্রি মহল এর বিরোধীতা করে আসছে।
আরও পড়ৃন: সিলেটে গোপালটিলায় মন্দির নির্মাণে রাষ্ট্রপতির হস্থক্ষেপ কামনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদনকারী সংবাদ কর্মী সুমন দে ও সমাজ কর্মী দীপক রায় জানান, আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি সহ, মনিনীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সিলেট- ১ আসনের মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার সহ সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি । আমাদের এলাকাবাসীর এবং সিলেটের ঐতিয্যবাহী গোপালটিলায় মন্দিরহীন অবস্থায় আমাদের সিলেটবাসীসহ সকল সনাতন ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্যে কষ্টের।
তারা আরো জানান, হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ মাটি খননে, মন্দির সংস্কার করতে কোন বাঁধা নেই । আসলে ২০১২ সালেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পুরাতন মন্দির প্রায় দেড় একর জমির ওপর । সংস্কার করার কোন সুযোগ নেই, এখন নতুন করে নির্মাণ করতে গেলে মন্দিরের স্তম্ভ স্থাপনে যতটুকু মাটি খনন করা প্রয়োজন তা করতেই হবে । তাই আমাদের স্বাধীনদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে মন্দির নির্মাণে হস্থক্ষেপের আবেদন করেছি ।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766