সিলেটে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরন করে নির্যাতন ও জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায়

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬

সিলেটে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরন করে নির্যাতন ও জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায়

এসবিএন: সিলেটে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরন করে তাদের উপর চালানো হয়েছে নির্মম নির্যাতন।

জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প ও সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর আদায় করা হয়। মদ খাইয়ে মাতাল বানিয়ে দেয়া হয় পুলিশে। বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার উত্তর কলাবাড়ির সুজনদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন। এ মামলার অন্যতম সাক্ষী কোম্পানীগঞ্জ থানার কালিবাড়ির ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার আব্দুল আওয়াল ও তার গ্রামের কাদির ব্যবসায়িক কাজে সিলেট নগরীতে আসনে, খবর পেয়ে সুজন ও তার সহযোগী দেলোয়ার একটি সিএনজি অটোরিক্সা ও দু’টি মোটর সাইকেলে ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে নগরীর মজুমদারীস্থ বাস স্ট্যান্ডে ওঁৎ পেতে থাকে।

বেলা আড়াইটার দিকে আব্দুল আওয়াল ও কাদির বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে মজুমদারী বাস স্ট্যান্ডে পৌছেন। এসময় সুজন ও তার সহযোগীরা আব্দুল আওয়াল ও কাদিরকে অস্ত্রের মূখে অপহরন করে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়।

পথিমধ্যে তারা আব্দুর আওয়াল ও কাদিরকে বেদম মারপিট করে । এক পর্যায়ে সুজন তার হাতে থাকা টর্চলাইটের পেছনভাগ আব্দুল আওযালের মরদ্বারে ঢুকিয়ে দেয়।

অপহরনকারী মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ১০০ টাকার ৩টি স্ট্যাম্পে কাদিরের স্বাক্ষর ও সাদা ২টি কাগজে আব্দুর আওয়ালের স্কাক্ষর নেয়।

পরে তাদেরকে জোর করে মদ খাইয়ে মাতাল সাজিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা ইয়াকুব আলীসহ পরিবারের লোকজন তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন এবং সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েছ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ঘটেছে।

তাই এয়ারপোর্ট থানায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যনের হেফাজতে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

May 2023
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031