আবুল হোসেন: সিলেট হতে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চিহ্নিত টিকিট কালোবাজারীরা পিছু হটলেও রেল কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সে স্থানটি দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় রেল কর্মচারী ও জিআরপি পুলিশের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতের হস্তক্ষেপে টিকিট কালোবাজারীর এ দৃশ্যপট বদলে গেলেও বদলায়নি রেলে ভ্রমনকারী যাত্রীদের দূর্ভোগ।
সরেজমিনে দেখাগেছে যে, রেলওয়ে ষ্টেশনের আশপাশের চিহ্নিত কালোবাজারীরা না থাকলেও রেলওয়ের নব্য কালোবাজারী হিসেবে কর্মচারীসহ স্থানীয় উঠতি বয়সের কিছু অসাধু যুবকরা নিয়মিত এ টিকিট বানিজ্য চালাচ্ছে।
টিকিট নিতে আসা যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সিলেট রেল ষ্টেশনের জি,আর,পি থানার ওসি টিকিট কাউন্টারের ভিতর কাউন্টার মাষ্টারের ভূমিকা পালন করছে। বিষয়টি আদৌ আইন সম্মত কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
অপরদিকে দেখা যায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের টিকিট না করতে উৎসাহিত করে দায়িত্বরত জিআরপি পুলিশ ও দায়িত্ব ট্রেনের এটেনডেন্টসরা। তারা যাত্রীদেরকে টিকিটের চাইতে কম মূল্যে ঢাকায় পৌঁছে দেবে বলে আশ্বাস দিয়ে খাবার গাড়ী ও নামাজের বগিতে করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী আবুল হোসেন, নাসিমা আক্তার, সালমা বেগম, মাসুদ মিয়া, মো. হানিফ, আনোয়ার, সোহাগ, দিপু, রবিন ও আকাশ জানান, টিকিট কালোবাজারীদের দমন করতে এসে জি,আর,পি পুলিশরাও যেন টিকিট কালোবাজারীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।
অন্যদিকে রেলওয়ে ষ্টেশনের আশেপাশের একটি সংঘবদ্ধ বখাটে দল প্রায়শই ষ্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে অশুভ আচরণ করে। বখাটেরা বিভিন্ন ছল-চাতুড়ির বাহানায় তাদের সাথে মিশে তাদের ব্যাগ, মোবাইল, এমনকি টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নেয়। এমনকি দুর থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে টিকেট কিনে দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত ষ্টেশন মাস্টার সাথে কথা হলে তিনি জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যাত্রীদের জানমাল ও কাউন্টারের নিরাপত্তার স্বার্থে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কাউন্টারে বসানো হয়েছে। টিকেট কালোবাজরীদের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আপনারা কালোবাজারীদের ধরুন আমার কিছুই করার নেই।
এ ব্যাপারে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কাউন্টার মাষ্টারের দায়িত্ব নয় বরং ষ্টেশনে টিকিট কালোবাজারী বন্ধসহ যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমি নিজে কাউন্টারসহ যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন করছি।
অপর দিকে কম্পিউটার অপারেটর রেলওয়ের কর্মচারী না হওয়া স্বত্ত্বেও টিকেট কাউন্টারে বসে রীতিমত টিকিট বিক্রি করে এবং ভিআইপি টিকেটের নাম ভাঙ্গিয়ে কম্পিউটারে টিকেট বুকিং করে রেখে পরবর্তীতে স্টেশান মাস্টারের যোগসাজশে টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে।
সংবাদটি শেয়ার করুন