টসে জিতে ফিল্ডিং নেন সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। নিজের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই। ফিরিয়ে দেন ডায়নামাইটসের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফকে। এরপর কিছুটা এভিন লুইস ও সাঙ্গাকারা কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তাদের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে সাকিব আল হাসানের দল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে ঢাকা ডায়নামাইটস।শুরুতেই ফিরে যান মেহেদী মারুফ। নাসিরের বলে হুইটলির হাতে ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে মারুফ যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, ঢাকা ডায়নামাইটসের রান তখন মাত্র ২। এরপর এভিন লুইস ও কুমার সাঙ্গাকারার জুটি জমে ওঠে। ৬ ওভার ৫ বলে তাদের ৫৪ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় ৫৬ রানে। আবারও ‘ঘাতক’ সেই নাসির। আবুল হাসান রাজুর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান লুইস। তার ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়।
এরপর স্কোরকার্ডে আরো ১০ রান যোগ হতেই ফিরে যান সাঙ্গাকারা। ২৮ বলে তিন চার আর এক ছয়ে ৩২ রানে প্লাঙ্কেটের বলে রাজুর হাতে ক্যাচ তুলে দেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। উইকেটে তিথু হতে না হতেই রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন (১১ বলে ৬)। দলের রান এক শ’ পেরোর আগেই (৯৮ রানে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ডও ফিরে যান। আবুল হাসান রাজু নিরীহ এক বলে মিড-অফে নাসিরের হাত ক্যাচ হন পোলার্ড (৭ বলে ১১ রান)।
দ্রুত ফিরে যেতে পারতেন ক্যামেরন ডেলপোর্টও। তার রান যখন ১, তখন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন শুভাগত হোম। ‘জীবন’ পাওয়ার এক বল পরেই শুভাগতের বলে ছক্কা হাঁকান ডেলপোর্ট। তবে পরের ওভারেই ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ঢাকা ডায়নামাইটসের দলপতি সাকিব। সাব্বির রহমানের বলে মিড-অফে থাকা প্লাঙ্কেটের হাতে বল তুলে দিলে শেষ হয় সাকিবের ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংস। উইকেট পড়ার ‘ধারাবাহিকতায়’ পরের ওভারেই শেষ আদিল রশীদ। রাজুর বলে ফ্লেচারের হাতে মিড-উইকেটে ক্যাচ হওয়ার আগে ৬ বলে ৩ রান আসে রশীদের ব্যাট থেকে।