আবুল হোসেন : সিলেটের গোয়াইনঘাট-এর কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী হিসেবে আলোচিত নাম আব্দুল হাকিম চৌধুরী। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে বর্তমানে ধারাবাহিক দুই বারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীতায় তাকে নিয়ে আলাচনা এখন তুঙ্গে। হাট-বাজার ও গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনিই এখন আলোচিত। সিলেট জেলার মধ্যে একমাত্র গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থ বৎসরে জ্যাইকা কতৃর্ক পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। লক্ষ মাত্রা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ খ্যাতে বরাদ্ধ কৃত অর্থ হতে দশ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪০লক্ষ টাকা প্রতি প্রকল্পে দশঁ লক্ষ টাকা হারে ৪টি ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্প গত ১৩ই জুলাই উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অনুমোদিত হয়। অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হলো-(১) আলীরগাওঁ কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন (২) জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে সৌচাগার নির্মান (৩) পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মাতুরতল বাজার ও আহার কান্দি বাজারে সৌরবিদ্যুতের ল্যাম্প পোষ্ট স্থাপন (৪) গুরকচি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মান। অবশিষ্ট ইউনিয়ন গুলোতে সমহারে পর্যায়ক্রমে বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেটের সর্বাধিক অবহেলিত গোয়াইনঘাট উপজেলার বর্তমান উন্নয়নের মূলে আব্দুল হাকিম চৌধুরীর ভূমিকা প্রশংশনীয় আর সে কারণে তিনি সিলেট-৪ আসনের তৃণমূলের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সিলেটের উন্নয়নের রূপকার মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অতি আস্তাভাজন ছিলেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী। এম সাইফুর রহমানকে দিয়েই আব্দুল হাকিম ১৯৯২ সালে বিপুল ভোটে উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই বছরই তিনি তৎকালীন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণির সু-যোগ্য নেতৃত্বে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীকে দিয়ে উপজেলার সালুটিকর-রাইখাল ব্রীজ উদ্বোধন করিয়ে যাত্রা শুরু করেন অবহেলিত গোয়াইনঘাট উন্নয়নের। এরপর থেকে একে একে গোয়াইনঘাট উপজেলার অবকাঠামোগত সব উন্নয়নে এম সাইফুর রহমানের হাত থাকলেও এর মূলে প্রেরনা যুগিয়ে ছিলেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী। গোয়াইনঘাটের পাশাপশি সিলেট জেলা বিএনপির রাজনীতিতেও আব্দুল হাকিম চৌধুরী নিজেকে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতা হিসেবে। গোয়ানঘাট উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠা সভাপতির দায়িত্ব পরে তিনি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নির্বাচিত হন, এমএ হক জেলা বিএনপির সভাপতি তাকাকালিন সময় তিনি দায়িত্বপান তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের। গোয়াইনঘাটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে আব্দুল হাকিম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি-আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট করে অগনিত অপরাপর রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান করান। তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে নিজেকে ধরে রেখে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নে বিএনপি ও অংগসংগঠনের ব্যাক্তি এ ঘটানা জানেন। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মনে বিএনপির সহনশীল রাজনৈতিক দর্শন ও মতাদর্শ ছড়িয়ে দেন। বিএনপির রাজনীতিকে উপজেলা পর্যায় থেকে তিনি বর্তমানে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদ অলংকৃত করে চলেছেন। সমাজ, শিক্ষা ও জনসেবায় অবদান রেখে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেগের চরম বৈরিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিকুলতা ডিঙ্গিয়েও তিনি ধরে রাখেতে সক্ষম হয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ। ১৯৮৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই রাজনীতি ও নির্বাচনে তার হাতে খড়ি। এরপর থেকে আর পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি তাকে। বারবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। গোয়াইনঘাট সরাকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে শুরু করে সবক’টি কলেজ ও হাইস্কুলের দাতা সদস্য আব্দুল হাকিম চৌধুরী শিক্ষানুরাগী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। রাজনীতির পাশপাশি সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের উন্নয়নেও তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক ও দাতা সদস্যের তালিকায় রয়েছে তার নাম। সব মিলিয়ে সিলেট-৪ আসনে বিরোধী দল বিএনপির সাংসদ প্রার্থীতায় তিনি এখন অপ্রতিদ্বন্দি। তৃনমূল বিএনপি ও ছাত্রদলসহ বিরোধী দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীদের এক আস্থাভাজন হিসেবে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে দেখতে চায় বিএনপি তথা বিরোধী জোটের একক প্রার্থী হিসেবে। তার দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে সর্বস্থরের বিএনপি নেতা কর্মীরা আজ ঐক্যবন্ধ হয়ে কাজ করছে এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট জননেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবী জানিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন