২রা অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
ডিম্পল দেব
সৈয়দা সায়রা মহসিন একজন ভিন্ন ধারার রাজনীতিবিদ । জনসেবাই যার কাছে রাজনীতি । অতি সাধারণ ঘরণী থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন। হয়েছেন প্যানেল স্পীকার। মানুষের ভালোবাসা তাঁকে নিয়ে গেছে বহুদূর ।
রাজনীতিবিদ পরিবারের সন্তান সৈয়দা সায়রা মহসিন । তাঁর পূর্ব পুরুষ ছিলেন আধ্যাত্মিক নেতা। হযরত শাহজালাল এর সফর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হজরত শাহ মোস্তফা । আসামের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তাঁর দাদার বাবা সৈয়দ আবদুল মজিদ কাপ্তান মিয়া । চার পুরুষ আগের সেই খ্যাতিমান রাজনীতিবিদের আমন্ত্রণেই নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর সিলেট সফরে এসেছিলেন। ১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথের সিলেট আগমন অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ও ছিলেন তিনি । এতে বোঝা যায় কাপ্তান মিয়া শুধু মন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন উদার, সংস্কৃতিবান ও দূরদর্শী একজন রাজনীতিবিদ ।
পরবর্তীকালে কাপ্তান মিয়ার বংশধরেরা রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় না হলেও সকলেই ছিলেন রাজনীতি সচেতন। সায়রা মহসিন ১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ বদর উদ্দিন । মায়ের নাম সৈয়দা রাবিয়া খাতুন । স্কুল জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন । ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন ।এস এস সি পাশ করার পরেই অল্প বয়সে আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মহসিন আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর ।
গণমানুশের রাজনীতিবিদ মহসিন আলী উদয়াস্ত মানুষের জন্য কাজ করে বেড়াতেন । সংসার আগলে রাখতেন সায়রা মহসিন। বিয়ের পর থেকে টানা তিন বার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন মহসিন আলী । ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ২০১৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে শেখ হাসিনার সরকার তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী করে। সফল্ভাবে এ সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ছায়াসঙ্গী হিসেবে মহসিন আলী পেয়েছেন তাঁর প্রিয়তমাস্ত্রী সায়রা মহসিন কে ।
সৈয়দ মহসিন আলী সারাজীবন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করলে ঐ বছরেরই ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন।সৈয়দা সায়রা মহসীন । তিনি শক্ত হাতে হাল ধরে স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মাত্র ৩ বছরে এতো কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব হয় নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় । কিন্তু তবু তিনি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা না করে সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন। একজন পূর্ণমন্ত্রীর স্ত্রী এবং নিজে সংসদ সদস্য হবার পরেও সায়রা মহসিন অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। রাজধানীতে থাকেন ভাড়া বাসায়। তবু কোন অতিথি তাঁর ঘর থেকে খালি হাতে ফিরে আসে না। আমরা আশা করবো আগামিতে এই সৎ রাজনীতিবিদের মূল্যায়ন হবে ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com