২৬শে মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
তিমির বনিক:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে পিআইসিদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই সবাই কাজ শেষ করতে চান। যে কারণে কার আগে কে কাজ শেষ করবেন এ নিয়ে হাওরে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। পিআইসিদের এমন প্রতিযোগিতামূলক কাজ দেখে স্থানীয় কৃষক-জনতা আনন্দিত ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের পশ্চিম প্রান্ত ভূরাখালি গ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৪ ও ৬ নম্বর প্রকল্পে প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
এ সময় ৪ নম্বর পিআইসি কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রন্টু বলেন, ইতোমধ্যে আমার প্রকল্পের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মাটি কাটার কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।
৬ নম্বর পিআইসি কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় ভালো কাজ করে আসছি। গত বছরও ভালো কাজ করায় ভয়াবহ অকাল বন্যার কবল থেকে হাওর রক্ষা হয়েছে। যে কারণে কর্তৃপক্ষ ভরসা করে আমাদের কাজ দেন। তবে একটি চক্র পিআইসি প্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কাজ হচ্ছে না বলে প্রবাকান্ডা ও মিথ্যাচার করে চলছে। এসব মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সরেজমিনে হাওরে এসে কাজ দেখার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাই।
আলমগীর মিয়া, টুনু মিয়াসহ হাওরপাড়ের স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এবার কম সময়ে ভালো কাজ হচ্ছে বলে আমরা সন্তোষ আনন্দিত প্রকাশ করছি। তা না হলে আমরাই আন্দোলন করতাম।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজী জানান, এবার পৌনে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭টি পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ ভাগ মাটি কাটার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো মাটি কাটা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com