ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


হাওর রক্ষা বাঁধের সময় পেরিয়ে গেছে ১৫ দিন, কাজ হয়েছে ৫০ ভাগ

abdul
প্রকাশিত মার্চ ১৫, ২০১৬, ০৩:৪৩ অপরাহ্ণ
হাওর রক্ষা বাঁধের সময় পেরিয়ে গেছে ১৫ দিন, কাজ হয়েছে ৫০ ভাগ

এসবিএন, সর্দার মুজাহিদুল ইসলাম, দিরাই প্রতিনিধিঃ দিরাই শাল্লার হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে শেষ করার সরকারের নির্দেশ থাকলেও সময় পেরিয়ে ১৫ দিন চলে গেলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৫০ ভাগ।

বাঁধের কাজের মন্তরগতি দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকেরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দিরাই শাল্লা ১২টি হাওরে বাঁধ সংস্কারের জন্য ৪ কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার বিভিন্ন বাঁধ ঘুরে দেখা গেছে কোন বাঁধের কাজই শেষ হইনি। পাউবো ও পিআইসি একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বরাম হাওরের তুফান খালি, বোয়ালিয়া, চাপতি হাওরের বৈশাখী বাঁধ, উদগল হাওরের মাছুয়া খারার বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় অধিকাংশ হাওর এখনও অরক্ষিত রয়েছে।

আকাশের কাল মেঘ দেখেই হাওর পাড়ের কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। বরাম হাওর পাড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার প্রতি বছর হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রচুর টাকা দিলেও আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও পানি উন্নয়নের কর্মকর্তারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।

কোন বছরই সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি। চাপতির হাওর পাড়ের কৃষক বুরহান মিয়া বলেন, পিআইসি ও পাউবো কর্মকর্তাদের ঠেলাঠেলি ও দোষারোপের মধ্য দিয়েই কাজের সময় চলে যায়, আকাশে কালো মেঘ দেখলেই আমাদের মনে শংকা জাগে কখন যে কি হয়।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ তদারকি কর্মকর্তা মাহমুদুল করিম বলেন প্রতিটি বাঁধের পাশে প্রকল্পের নাম ও বরাদ্দের পরিমাণ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গানোর নির্দেশ থাকলেও কেউ সেটা মানছেন না।

অধিকাংশ পিআইসি আমাদের কথামত কাজ করছেন না। একাধিক পিআইসি চেয়ারম্যান জানান, সরকারী বরাদ্দ সময় মতো না পাওয়ায় কাজ করানো যাচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, আমি এ পর্যন্ত ৮-১০ টি বাঁধ পরিদর্শন করেছি, কাদির পুর ও বোয়ালিয়া বাঁধ ৪-৫ দিন আগে যে রকম ছিল তেমনি রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন বাঁধের কাজ শেষ না হওয়া বড়ই দুঃখজনক।

তিনি মাটি কাটার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, স্কেবেটার মেশিন দিয়ে বাঁধের পাশ থেকে মাটি তুলায় একটু বৃষ্টি হলেই মাটি ধসে যাবে।

এ ছাড়া মেশিন দিয়ে মাটি কাটায় আমাদের এলাকার মাটিকাটার শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930