সদরুল আইনঃ
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ কোরবানির পশু কেনার কাজটা সেরে ফেলেছেন।
হোক সেটা গরু-মহিষ কিংবা খাসি। কেউ কেউ আবার দুম্বাও কিনেছেন।
বাকিরা আজ রাতের মধ্যে কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও সেই সংখ্যা কম। কারণ পশু কেনার ক্ষেত্রে এবার বেশিরভাগ ক্রেতাই ঈদের আগের দিনের জন্য অপেক্ষা করেননি। ঈদের ২-৩ দিন আগেই কোরবানির পশু কিনেছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই ঝরছে বৃষ্টি। কখনও মুষলধারে আবার কখনও রয়ে-সয়ে। তাই বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে হাটে ক্রেতা ছিল তুলনামূলক কম।
তবে বৃষ্টি থাকুক বা না থাকুক দুপুরের পর থেকে বিকেলের দিকে ক্রেতা সমাগম বাজারে একটা ধাক্কা দিবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গরু ব্যাপারীরা।
যারা এখনও পশু কেনেননি তারা মনে করছেন দাম কমবে আর বিক্রেতারা অপেক্ষা করছেন একটু বেশি লাভের আশায়। তবে শেষ পর্যন্ত কারা বেশি সুবিধাটা নিতে পারবেন সেটা সময়ই বলে দিবে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত হাটের যে অবস্থা তাতে লাখের আশপাশের গরুগুলোর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখের মধ্যে গরু খুঁজছেন।
দেড় লাখের উপরে গরু যে কেউ কিনছেন না এমন নয়, তবে সেটা তুলনামূলক কম।
যদিও দাম অন্যবারের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর শনির আখড়া, ধোলাইখাল, কমলাপুর ও শ্মশান ঘাট এলাকার হাটগুলোতে এখনও গরু আসছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু আছে।
অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন হিসেবে হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। কেউ কেউ আবার আজকের এই বৃষ্টিকেও দায়ী করেছেন।
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা বিকেলের দিকে ক্রেতার চাপ বাড়বে। তবে গরুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও দাম কমাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এক্ষেত্রে গরুর দাম নিয়ে ত্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অনেকে বলছেন বাজার চড়া, আবার কেউ কেউ বলছেন গরুর দাম কিছুটা হলেও সহনীয় আছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন