এসবিএন ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী, সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা বিকাশ এবং গণজাগরণ মঞ্চের পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে ‘হামলাকারী’ পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়িছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের পাকিস্তান ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত গণসমাবেশে এ দাবি করেন তিনি।
ডা. ইমরান বলেন, ‘পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গুলশানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তান হাইকমিশনে গণজাগরণ মঞ্চের শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ কোন উস্কানি ছাড়াই হামলা চালিয়েছে। কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে কিছু পুলিশ সদস্য পথভ্রষ্ঠ হয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সব হামলা উপেক্ষা করে গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন চালিয়ে যাবে মন্তব্য করে ডা. ইমরান বলেন,’পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে জাল নোট ছাপানো হচ্ছে, জঙ্গিবাদীদের অর্থায়ন করা হচ্ছে। সরকারের উচিত নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে পাকিস্তানের এসব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।’
এ সময় একাত্তরের গণহত্যাকারী, বাংলাদেশি কূটনীতিককে ফেরত পাঠানোর জন্য পাকিস্তানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সব পাওনা মিটিয়ে দিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানায় গণজাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের কর্মীরা পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধেরও দাবি করেন।
গণজাগরণ কর্মী শিবলী হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসুল, ভাস্কর রাসা, রহমান মুফিজ, আরিফ নুর প্রমুখ।
সংবাদটি শেয়ার করুন