সদরুল আইনঃ
শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওয়ানা দেন এবং রাত ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছান।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ জুন রাত দেড়টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেখানে অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলে।
টানা পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর শনিবার বাসায় ফিরলেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় একই হাসপাতালে সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বিছানা থেকে উঠে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দলীয় চেয়ারপারসনকে বিদায় জানান।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাবেক এমপি লায়ন হারুন-অর রশিদ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামছউদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি হাসপাতাল চত্বর থেকে বের হবার সময় অসংখ্য নেতাকর্মীর ভিড় ছিল সেখানে। রাস্তার দু’পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে অভিবাদন জানান।
অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে গুরুতর অসুস্থ।
তিনি লিভার, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। কয়দিন পরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তিনি সবসময়ই চিকিৎসাধীন। বাসায় গেলেও তার চিকিৎসা চলবে।
গত ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পাঁচ দিন হাসপাতালে রেখে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। পরে বাসভবনে ফেরেন তিনি। গত বছরের জুন মাসে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এরপর থেকে তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন