গত ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১২২৩ পৃষ্ঠার আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আপিলে নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে জামিন চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান এ আপিল দায়ের করেন।
খালেদার জামিনের জন্য ৮৮০ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আবেদনে বয়স, শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক মর্যদা বিবেচনাসহ মোট ৩৩টি যুক্তি দেখানো হয়েছে । বিচারিক আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। আগামী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়েও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রোববার দুপুর ২টার সময় আপিল ও জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। আদালতে এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রায় প্রদানকারী বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর ১ হাজার ১৭৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন