এসবিএন হেলথ ডেস্ক: বিশেষঞ্জদের ধারণামতে খা্দ্য তালিকা ছাড়াই নিজের ওজন কমাতে ৫টি উপায় অনুসরণ করলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
নিচে ৫টি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা:
১. ভালো মানের খাবার
ওজন কমাতে কার্ব, দুগ্ধজাত পণ্য কিংবা বিশেষ কিছু খাবার বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, ফোলেট এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ জরুরী। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হয়।
২. বেশি বেশি সবজি
উচ্চমাত্রার ফাইবার, ভিটামিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে ফল ও সবজিতে। এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে ওজন কমানোর কাজটি সহজতর মনে হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেবল ফল ও সবজির পরিমাণ বৃদ্ধিতে বিশাল স্থূলকায় মানুষের ওজন পরবর্তী ৪ বছরের মধ্যেই রীতিমতো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
৩. পরিমিত খাদ্যগ্রহণ
যদি ক্ষুধা লাগলে প্রচুর পরিমাণে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন, তবে ওজন বৃদ্ধির গতি লাগামহীন হবেই। যা-ই খান না কেন, তা যদি পরিমিত হয় তবে কোনো সমস্যার কারণ নেই।
৪. পানীয় বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন
এক ক্যান সফট ড্রিংকসে থাকে ১৫০ ক্যালোরি। এ পরিমাণ ক্যালোরি পোড়াতে ৩০-৪৫ মিনিট একটানা হাঁটতে হবে। তাও নির্ভর করে আপনার ওজন ও হাঁটার গতির ওপর। যেসব শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক একটু বেশি পানীয় গ্রহণ করেন, তাদের মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৫ গুণ বেশি হবে।
৫. খাবারের দীর্ঘ সারি
আধুনিক যুগ মানুষকে শুধু খাওয়ার উৎসাহ দেয়। সুপারশপে সবজি কিনতে গেলেও হয়তো কোনো পানীয় বা চকোলেট খেতে খেতে আপনি সবজি কিনবেন। এর ব্যবস্থা করে রাখে বিক্রেতারা। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের বিজ্ঞাপন খাদ্য তালিকাকে ক্রমশ দীর্ঘ ও বিচিত্র করে তুলেছে। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফুড কোর্ট, সুপারশপ ইত্যাদি স্থান এড়িয়ে চলা ছাড়া গতি দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদটি শেয়ার করুন