১৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো বিএনপি চেয়ারপার্সনের উকিল নোটিশ ক্ষমা প্রার্থনাসহ প্রত্যাহার করতে বলেছে আওয়ামী লীগ।
২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল ৫টায় ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসায় জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়াকে প্রভাবিত করতেই খালেদা জিয়ার এ কৌশল বলে আমরা মনে করি। এতে শেষ রক্ষা হবে না খালেদা জিয়ার।
অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান হাছান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ডাক যোগে খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে এ আইনি নোটিশ পাঠান বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নোটিশে বলা হয়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জিয়া পরিবার সম্পর্কে দেওয়া মানহানিকর ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কয়েকটি দেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘দুর্নীতি মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।’
গত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্নের পরিপেক্ষিতে ওই প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সৌদি আরবে যে বিশাল শপিংমল পাওয়া গেল; এটা তো আমরা বলিনি। এই খবর দেওয়ার কোনো আগ্রহ দেখলাম না।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘ওই খবরটি কেন শুধু দুটি সংবাদপত্র ও দুটি টেলিভিশনে প্রকাশ করা হলো, অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো কেন তা প্রকাশ ও প্রচার করল না’, এমনকি সম্পাদকরা বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন কিনা, সেই কারণে খবরটি চেপে গেছেন কিনা- এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
পরদিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই মানহানিকর তথ্য প্রচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হব।’
তিনি বলেন, জিয়া পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা প্রমাণ করতে না পারলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বললেও অভিযোগ প্রমাণে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com