১৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২০
কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ এর মৃত্যু দিবস আগামীকাল । বাংলাদেশের একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ,একজন ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক,এবং সাবেক এমপি ।
১৯৩৮ সালের ৫ জুলাই কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার জমাদারপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা আহমেদ সাফাকাত আল বারি ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
১৯৫২ সালে দিনাজপুর জেলা স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
১৯৫৩ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করার পর দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন।
১৯৫৩ সালে দিনাজপুর অঞ্চলে প্রথম ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠন গড়ে তুলেন।
১৯৫৪ সালে ১০ জুন গ্রেফতার হন।
১৯৫৫ সালের ১০ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৭ সালে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন।
১৯৫৮ সালে পুর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
১৯৫৯ সালে বিএ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেন।
১৯৬২ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান কমরেড ফরহাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন।
আইয়ুব খানের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে যে জঙ্গি ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন সেই আন্দোলনের মূল নেতা।
১৯৬৬ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক নির্বাচিত হন।
১৯৬৭ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে পার্টির প্রথম কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনে কমরেড ফরহাদ ছিলেন নেপথ্য নায়ক।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সংগঠক ও নেতা ছিলেন।
১৯৭২ সালে ৩০ জানুয়ারি কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত গেরিলা বাহিনীর অস্ত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নিকট সমর্পণ করেন।
১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩৫ বছর বয়সে পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন এবং তাকে ঐ সংগঠনের দলীয় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে গ্রেফতার হন।
১৯৮০ সালে আবার গ্রেফতার করা হলে ১৯৮১ সালে মুক্তিলাভ করেন।
১৯৮৩ সালে স্বৈরাচার এরশাদের আমলে গ্রেফতার করে ১৪ দিন বন্দি করে রাখা হয়।
কমরেড ফরহাদের রাজনৈতিক ছদ্ম নাম ছিল ‘কবির’। তাঁকে বলা হত ‘বাংলার লেনিন’।
১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্বৈরাচার এরশাদকে পরাস্ত করার কৌশল হিসেবে তিনি দিয়েছিলেন দুই নেত্রীর ১৫০-১৫০ আসনে নির্বাচন করার ফর্মূলা। সেদিন ভীত হয়ে স্বৈরাচারএরশাদ অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন যে কোন প্রার্থী ৫টির বেশি আসনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না।
১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৭ সালে চতুর্থ কংগ্রেসে পুনরায় কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৭ সালের ৯ অক্টোবর কমরেড ফরহাদ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে মৃত্যুবরন করেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com