কুশলী আলোচনায় নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফলতা

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

কুশলী আলোচনায় নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফলতা

 মো. শরীফ মাহমুদ অপু

কূটনীতিতে-সভা-সেমিনারে সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত আলোচ্যসূচি থাকলেও অনেকক্ষেত্রে সাফল্য নির্ভর করে কূটনীতিকের বিচক্ষণতা, দক্ষতা, তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা ও তাঁর ব্যক্তিত্বেরউপর। সদ্য স্বাধীন দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান তাঁর হিমালয়ের মত ব্যক্তিত্বের কারণে বাংলাদেশকে খুব অল্পদিনে বিশ^ দরবারে তুলে ধরেছিলেন এবং নিজে হয়ে উঠেছিলেন বিশ^ নেতা।

কূটনীতিতে তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা একটি বিশেষ গুণ। তাৎক্ষণিক বুদ্ধিসম্পন্ন বিচক্ষণ ব্যক্তিরাকূটনীতিতে সাফল্য লাভের পাশাপাশি অন্যদের অযাচিতহস্তক্ষেপ থেকে নিজেদের ও জাতিকে রক্ষা করতে পারে।এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে পারি যে, ২০১৫ সালের দিকে বাংলাদেশে যখন ব্লগার হত্যাকা-ে শুরু হল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তখন প্রতিটি হত্যাকা-েররহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আনার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছিলো।

সে বছরের শেষের দিকে কানাডার রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রএবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ ৯টি দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। যথারীতি শক্তিধর দেশের প্রতিনিধিই বেশি উচ্চকন্ঠে আইন-শৃঙ্খলা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা তথা মুক্তচিন্তা নিয়েআলোচনা করছিলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখেই তার নিজের দেশের বৃহৎ সংবিধানের প্রথম সংশোধনীটি যে ধর্মীয় রক্ষাকবচের জন্য করা হয়েছিল সেটি তাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত স্বীকার করলেন যে তাঁর নিজের দেশের সংবিধানের সংশোধনীটি তিনি পড়ে দেখবেন।

মন্ত্রী সবাইকে আশ^স্ত করলেন যে প্রতিটি ঘটনার সঠিক বিচার হবে। মাননীয় মন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত বাকস্বাধীনতা যেমন আছে তেমনি অন্যের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত না করায় বিধি নিষেধও যে আছে তা মান্যবরদের অবহিত করেন।

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশ-ভারতঃ সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বহুমাত্রিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক:

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের এপিঠ-ওপিঠ নিয়ে অনেক কথা থাকলেও দু-দেশের মধ্যে রয়েছে এক আত্মীক সম্পর্ক। একই সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠা দু-দেশের জনগণের রয়েছে নিবির যোগাযোগ। প্রতিবেশী দুই দেশের জন্যই পারষ্পরিক সু-সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইতোমধ্যে ৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সভাগুলির মাধ্যমে বেশ কিছু সমস্যা সমাধান এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে অনেক। এইদুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সংগঠিত হয়ে থাকে। মনে হয় যেন দুই দেশই তার বন্ধুর জন্যে উদার মনে আলোচনায় বসেছে। পারস্পরিক আস্থা ও বিশ^াসের ভিত্তিতে গড়ে উঠা এ সম্পর্কেও রয়েছে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কিছু টানাপোড়ন। কূটনীতিতে এটা হওয়াই স্বভাবিক। এ সভাগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে সমস্যা সংক্রান্ত ১১৪৫ টি ম্যাপ এর মধ্যে ১১৪৪ টি ( ফেনীর মুহরী নদী ব্যাতীত) ম্যাপ স্বাক্ষর হয়। দু’দেশের ভ্রমণের ভিসা সহজীকরণ হয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারত ভ্রমণ করলে যে রুট দিয়ে প্রবেশ করত সে রুট দিয়ে ফিরতে হত। এতে চিকিৎসার জন্য যেসব বাংলাদেশী ভারত ভ্রমণ করত তাদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে একটি বৈঠকের মাঝ পর্যায়ে অনুরোধ করেন যে বাংলাদেশীরা যেদিক দিয়েই ভারতে প্রবেশ করুক না কেন যাতে যে কোন রুট দিয়েই দেশেই ফিরে আসতে পারে। এ বৈঠকগুলির মাধ্যমে এরকম সমস্যা সমাধান হচ্ছে। অবশ্য পাশর্^বর্তী দুই দেশের পারষ্পরিক সমস্যা ও সম্ভাবনা প্রচুর। নতুন নতুন উদ্ভূত সমস্যাগুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে সমাধান হয়ে থাকে। প্রতিটি দেশই চায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে গড়ে উঠা সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের আদান-প্রদান বা এক দেশ অপর দেশকে যে সুযোগ দেবে ঠিক সে দেশ থেকে নিজেও একই ও সমপরিমান সুযোগ ভোগ করবে অর্থাৎ সম্পর্কটি হবে রিসিপ্রোকাল।

গত আগস্ট ২০১৯ এ দীল্লিতে অনুষ্ঠিত দু-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকের পরের দিন ৮ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করেন। মোদি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করে বলেন,’ পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখার জন্য বিশে^র গবেষকরা বাংলাদেশ ভ্রমণ কারা উচিত। মোদি এভাবে বলেন’, বাংলাদেশের আমার বোন শেখ হাসিনাজিকে আমার সালাম পৌছে দিবেন।

 

 

 

 

বাংলাদেশ মায়ানমারঃ আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে

পাশর্^বর্তী দেশ মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যেন আস্থা-অনাস্থার এক আনপ্রেডিক্টেবল সম্পর্ক। ভারতের পর মায়ানমারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বেশি সংখ্যক বৈঠক হয়। বাংলাদেশ-মায়ানমারের সম্পর্কটাকে একটি উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরা যেতে পারে। নেপিডোতে দ্বিতীয় দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে দু-দেশের প্রতিনিধিদের সভা চলাকালীন হঠাৎ করে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা বন্ধ করে দেন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বৈঠক থেকে উঠে তাঁর জন্য নির্ধারিত কক্ষে বিশ্রাম নিতে যান। বলে যান দুই-পক্ষ তাৎক্ষণিক আলোচনা করে এজেন্ডা ফাইনাল করে যেন তাকে বৈঠকে ডাকা হয়।
উল্লেখ্য, এ জাতীয় কূটনৈতিক সভায় সাধারণত বৈঠকের আগে দুপক্ষ আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করে পারষ্পরিক বিনিময় করে থাকে। কিন্তু এ বৈঠকে আলোচনার সময় দু’পক্ষের আলোচ্যসূচির মধ্যে গড়মিল দেখা যায়। পরিশেষে দু’পক্ষের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক আলোচ্যসূচি ঠিক করে মাননীয় মন্ত্রীকে আলোচনা কক্ষে নিয়ে আসেন। বস্তুত দ্বি-পাক্ষিক সভাগুলোর মধ্যে মায়ানমারের সঙ্গে বৈঠকগুলিতে কূটনৈতিক আবহ সৃষ্টি হয়। মায়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে যথাযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করে ফিরিয়ে নেওয়ার উপরই জোর আলোচনা হয়। প্রতিটি আলোচনায় মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আন্তরিক ইচ্ছা ও মনোভাব প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন এখনও দেখা যায়নি।

নেপিডোতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’র সঙ্গে দেখা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিশেষ বার্তা পৌছে দেন। তাঁর কাছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদক বিশেষত ইয়াবা ট্যাবলেটের (সুচি অবশ্য ইয়াবা ট্যাবলেট বুঝেন না তাকে মেথঅ্যাম্ফিটামিন বুঝানো হয়) চোরাচালান বন্ধে সহযোগিতার অবাহবান জানান। সূচি এতে সহযোগিতার আশ^াস দিলেও নিজ দেশের যুবসমাজ যে এর ছোবলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা জানান। মায়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বর্ডার লিয়াঁজো অফিস স্থাপনের ব্যাপারে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরীত হয়। বর্তমানে দুই সীমান্তে অস্থায়ী লিয়াজো অফিস কাজ করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বি-পাক্ষিক সভার আলোকে বাংলাদেশ মায়ানমার সম্পর্ককে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়; যেন প্রতিটি সভা একটি নতুন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন আলোচনাতে যেন পূর্বের বৈঠকের কোন ধারাবাহিকতা খুঁেজ পাওয়া যায় না।

 

 

 

 

 

বাংলাদেশ-চীনঃ খোলেছে নতুন সম্পর্কের দোয়ার

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশেরস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কটি যেন একটু ভিন্নমাত্রা সংযোজন করে। চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাউ কেঝি এর আমন্ত্রণে দু-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়েরদ্বিতীয় বৈঠকটি ১৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেইজিং-এ লাল গালিচার সম্মাননা জানানো হয়। সভায় মাযানমার হতে জোরপূর্বক বাস্তুচূত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ বাসভূমিতে ফিরিয়ে নিতে চীনের মধ্যস্থতার আহবান জানানো হলে চীন ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বেইজিং পুলিশের মধ্যে সহযোগিতার প্রটোকল স্বাক্ষর হয়।

এ সফরেবলতে গেলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কেরব্যাপকতার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনারও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। সফরে বাংলাদেশের পাশ^বর্তী চীনের প্রদেশ, যেটির সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক যোগাযোগ হয় কুনমিং এরগভর্ণর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সেজন্য সাক্ষাত করেন।

সর্ম্পকে আগ্রহী নতুন নতুন দেশ

করোনা মহামারীর পূর্বে তুরষ্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলেমান সৌলোর আমন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের উদ্দ্যেশে আংকারা সফর করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। এ সফরে সাইবার নিরাপত্তা, অর্থ পাচার প্রতিরোধ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা হয়। জঙ্গিবাদ নির্মূলে দুইদেশ একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে। তাছাড়া তুরস্কে অবস্থানরত বাংলাদেশী অভিবাসীদের সহযোগিতার আশ^াস দেয় তুরস্ক। বিশ^ব্যাপি কোভিড পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে তুরষ্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরও ইতোমধ্যে হয়ে যেত। তবে সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরোদোয়ান বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানতো বটেই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ বিধায় সম্প্রতি প্রতিবেশি কিছু দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়ণে তৎপর হয়ে আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রণালয়ও বঙ্গবন্ধু প্রণীত সফল পররাষ্ট্রনীতি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব; কারও সাথে শত্রুতা নয়” নীতিতে অগ্রসর হচ্ছে।বাংলাদেশ সাড়া দিলে আমাদের আরও কিছু প্রতিবেশী ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে হচ্ছে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930