জাহিদুল আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৮২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।তার মধ্যে ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার।এই সব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা কলাগাছ বা এইধরণের কিছু দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।
এলাকার সুশীল সমাজ মনে করছেন, ভবিষৎ প্রজন্মের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ, দেশাত্মবোধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য চেতনা জাগ্রত করার প্রয়োজনে হলেও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৭০ বছরেও উপজেলার ১৮২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এখনো শহীদ মিনার নেই ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যা খুবই দুঃখজনক । যদিও স্কুল পরিচালনা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বেশ কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে শহীদ মিনার নেই এমন একটি বিদ্যালয় শিবপুর হোসনে আরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তার বলেন আমার বিদ্যালয়ে নতুন বিল্ডিং হওয়ায় শহীদ মিনার টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই।এখন পর্যন্ত কোন শহীদ মিনার তৈরি হয় নাই। চাইলেই কিন্তু ছোট আকারে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার তৈরি করা যায়। তবে সমস্যাটা হচ্ছে বরাদ্দ নেই। তবে গত বছর সরকার থেকে একটা নির্দেশনা এসেছে যে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নিমার্ণের কিন্তু তাও হচ্ছে না। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে সরকার চাইলেই কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে পারেন।’ আমি দ্রুত একটি শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন উপজেলায় ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই।এর মধ্যে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাই স্কুলের সাথে সংযুক্ত। বাকীগুলো তৈরির জন্য জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি এবং জেলা উপজেলার শিক্ষা কমিটির মিটিংগুলোতে আমি শহীদ মিনারের জন্য দাবি জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কেন্দুয়াতে যে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তা আমাকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয় নাই।তবে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার দ্রুত নির্মাণের জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।