২১শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে দুই দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গতকাল । নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়েছে আলোচনা ও নৃত্যানুষ্ঠান । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ । অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন প্রবীণ নৃত্যশিল্পী , সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুবনা মারিয়াম ।
সব সংস্কৃতির আদি জননী হচ্ছে নাচ বা নৃত্য। নাচ সাংস্কৃতিক শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম। ফলে গবেষণা ও শিক্ষার উপাদান হিসেবে সারা বিশ্বেই নাচের জনপ্রিয়তা রয়েছে। নাচ মানুষের মেধা ও মননকে বিকশিত করে। নাচে দেহভঙ্গিমার মাধ্যমে শৈল্পিকভাবে পার্থিব ও অপার্থিব সব ভাবকে মানুষ প্রকাশের সুযোগ পায়। এ প্রকাশভঙ্গিতে থাকে গতি ও ছন্দ। সেই গতি ও ছন্দের তালে তালে ফুটে ওঠে প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, অনুরাগ, প্রতিবাদ। সমাজ কিংবা গল্প-ইতিহাসের কথাও নাচের মাধ্যমে উঠে আসে। নাচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায় জীবনের কথা, চাওয়া-পাওয়া বা না-পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে নাচ শুধু বিনোদনমাত্র নয়, নাচ জীবনের প্রতিবিম্বও। ফরাসি নৃত্যশল্পিী তথা আধুনকি ব্যালরে রূপকার জাঁ-জর্জসে নভরের জন্মদিনে ইউনস্কোর ‘পারফর্মিং আর্টস’-এর প্রধান সহযোগী আর্ন্তজাতকি থিয়েটার ইনস্টটিউিট (আই.টি.আই) এর নৃত্য কমিটি উদ্যোগে প্রতবিছর ২৯ এপ্রলি এই দিনটি পালন করা হয়। আই.টি.আই ও ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কমিটি ১৯৮২ সালে প্রথমবার আর্ন্তজাতকি নৃত্য দিবস পালন শুরু কর। আদিম যুগের প্রথম ভাষাই হচ্ছে নাচ। নৃত্যকে বলা হয় সকল শিল্পের জননী। কেউ মনে করেন নৃত্য হচ্ছে মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। কেউ বলেন নৃত্য হলো প্রকৃতি। কেউ বলেন নৃত্য হলো লুকিয়ে থাকা আত্মার ভাষা ও তাঁর প্রকাশ। আসলে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নাচ হলো পৃথিবীর সকল মানুষের ভালোলাগা ঐতিহ্য। কে এই জাঁ জর্জ নভের? যার কথা ভেবে সারা পৃথিবীতে নৃত্য দিবস পালনের প্রথা শুরু। ১৭২৭ সালের ২৯ এপ্রিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে নভেরের জন্ম। মা মেরি এনি ছিলেন ফরাসি। বাবা জেন লুইস একজন সৈনিক ছিলেন। নভের যেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়, এমনটাই ছিল বাবা মায়ের ইচ্ছে। কিন্তু বাবা মায়ের সে ইচ্ছেকে উপেক্ষা করে নভের বেছে নিয়েছিলেন নৃত্য শিল্পকে। তিনি নিজেকে একজন ব্যালে নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। নাচকেই জীবনের ধ্যানজ্ঞান করে নেন। সেই সময় ফ্রান্সসহ গোটাইউরোপ জুড়ে নৃত্যশিল্পের নামে কদর্যতা ও উদ্দাম দেহ প্রদর্শন শুরু হয়। এরই বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হন নভের। নৃত্যের সৌন্দর্য্য ও আনন্দকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আজীবন কাজ করেন। ১৮১০সালে তাঁর মৃত্যু হলেও নৃত্য জগতের বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও নৃত্য সংস্কারক হিসেবে মানা হয়। এই কারনেই জর্জ নভেরের জন্মদিনকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে এই দিনটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে। তখন থেকে ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে আইটিআই-কে অনুষ্ঠানের নির্মাতা এবং সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সুতরাং আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস হল নৃত্যের একটি বৈশ্বিক উদযাপন। যা ইউনেস্কোর পারফর্মিং আর্টসের প্রধান অংশীদার ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নৃত্য কমিটি দ্বারা তৈরি। দিবসটি সারা বিশ্বে ২৯এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান এবং উৎসবের মাধ্যমে নৃত্যে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে। জ্যঁ জর্জ নভেরের অবদানের স্বীকৃতির মাধ্যমে একদিকে যেমন নৃত্যের জন্য বিশেষ একটি দিন নির্ধারিত হয়, তেমনি এই গুণী শিল্পীকেও শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ তৈরি হয়। নৃত্য বা নাচ মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। কেননা, নৃত্য ও এর ভাষা কাজ করে একসূত্রে। নাচের মাধ্যমেই সহজে মনের আবেগকে তুলে ধরার গুরুত্ব থেকে দিবসটি সারাবিশ্বে উদ্যাপন করা হয়।
সব সংস্কৃতির আদি জননী হচ্ছে নাচ বা নৃত্য। নাচ সাংস্কৃতিক শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম। ফলে গবেষণা ও শিক্ষার উপাদান হিসেবে সারা বিশ্বেই নাচের জনপ্রিয়তা রয়েছে। নাচ মানুষের মেধা ও মননকে বিকশিত করে। নাচে দেহভঙ্গিমার মাধ্যমে শৈল্পিকভাবে পার্থিব ও অপার্থিব সব ভাবকে মানুষ প্রকাশের সুযোগ পায়। এ প্রকাশভঙ্গিতে থাকে গতি ও ছন্দ। সেই গতি ও ছন্দের তালে তালে ফুটে ওঠে প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, অনুরাগ, প্রতিবাদ। সমাজ কিংবা গল্প-ইতিহাসের কথাও নাচের মাধ্যমে উঠে আসে। নাচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায় জীবনের কথা, চাওয়া-পাওয়া বা না-পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে নাচ শুধু বিনোদনমাত্র নয়, নাচ জীবনের প্রতিবিম্বও। ফরাসি নৃত্যশল্পিী তথা আধুনকি ব্যালরে রূপকার জাঁ-জর্জসে নভরের জন্মদিনে ইউনস্কোর ‘পারফর্মিং আর্টস’-এর প্রধান সহযোগী আর্ন্তজাতকি থিয়েটার ইনস্টটিউিট (আই.টি.আই) এর নৃত্য কমিটি উদ্যোগে প্রতবিছর ২৯ এপ্রলি এই দিনটি পালন করা হয়। আই.টি.আই ও ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কমিটি ১৯৮২ সালে প্রথমবার আর্ন্তজাতকি নৃত্য দিবস পালন শুরু কর। আদিম যুগের প্রথম ভাষাই হচ্ছে নাচ। নৃত্যকে বলা হয় সকল শিল্পের জননী। কেউ মনে করেন নৃত্য হচ্ছে মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। কেউ বলেন নৃত্য হলো প্রকৃতি। কেউ বলেন নৃত্য হলো লুকিয়ে থাকা আত্মার ভাষা ও তাঁর প্রকাশ। আসলে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নাচ হলো পৃথিবীর সকল মানুষের ভালোলাগা ঐতিহ্য। কে এই জাঁ জর্জ নভের? যার কথা ভেবে সারা পৃথিবীতে নৃত্য দিবস পালনের প্রথা শুরু। ১৭২৭ সালের ২৯ এপ্রিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে নভেরের জন্ম। মা মেরি এনি ছিলেন ফরাসি। বাবা জেন লুইস একজন সৈনিক ছিলেন। নভের যেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়, এমনটাই ছিল বাবা মায়ের ইচ্ছে। কিন্তু বাবা মায়ের সে ইচ্ছেকে উপেক্ষা করে নভের বেছে নিয়েছিলেন নৃত্য শিল্পকে। তিনি নিজেকে একজন ব্যালে নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। নাচকেই জীবনের ধ্যানজ্ঞান করে নেন। সেই সময় ফ্রান্সসহ গোটাইউরোপ জুড়ে নৃত্যশিল্পের নামে কদর্যতা ও উদ্দাম দেহ প্রদর্শন শুরু হয়। এরই বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হন নভের। নৃত্যের সৌন্দর্য্য ও আনন্দকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আজীবন কাজ করেন। ১৮১০সালে তাঁর মৃত্যু হলেও নৃত্য জগতের বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও নৃত্য সংস্কারক হিসেবে মানা হয়। এই কারনেই জর্জ নভেরের জন্মদিনকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে এই দিনটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে। তখন থেকে ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে আইটিআই-কে অনুষ্ঠানের নির্মাতা এবং সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সুতরাং আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস হল নৃত্যের একটি বৈশ্বিক উদযাপন। যা ইউনেস্কোর পারফর্মিং আর্টসের প্রধান অংশীদার ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নৃত্য কমিটি দ্বারা তৈরি। দিবসটি সারা বিশ্বে ২৯এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান এবং উৎসবের মাধ্যমে নৃত্যে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে। জ্যঁ জর্জ নভেরের অবদানের স্বীকৃতির মাধ্যমে একদিকে যেমন নৃত্যের জন্য বিশেষ একটি দিন নির্ধারিত হয়, তেমনি এই গুণী শিল্পীকেও শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ তৈরি হয়। নৃত্য বা নাচ মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। কেননা, নৃত্য ও এর ভাষা কাজ করে একসূত্রে। নাচের মাধ্যমেই সহজে মনের আবেগকে তুলে ধরার গুরুত্ব থেকে দিবসটি সারাবিশ্বে উদ্যাপন করা হয়।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com