দুই স্কুলের ২০ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!

প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২১

দুই স্কুলের ২০ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!

করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চললেও প্রান্তিক মানুষের জন্য তা এখনও দূরহ। প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সহজলভ্য ও সুলভ না হওয়ার কারণে সে উদ্যোগ খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না।

এর ফলে গ্রাম অঞ্চলে গত এক বছরে বাল্যবিয়ের হার  বেড়ে গেছে। রাজশাহীর মোহনপুরে করোনার মধ্যে অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে জোর করে বিয়ে এবং বাল্যবিয়ের প্রবণতা।

দীর্ঘদিনের লকডাউনে স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ছেলে–মেয়েরা বাড়িতে বসে আছে তাই তাদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। অনেকে আবার প্রেমের টানে নিজেরাই বিয়ে করতে উদ্যোগী হচ্ছেন। তবে বাল্য বিয়ে কিংবা পড়াশোনা থেকে সরিয়ে দিতে জোর করে বিয়ের পরিমাণই বেশি।

গত কয়েক মাসের মধ্যে উপজেলার কেশরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আবার তিন জনের বাড়ি একই গ্রামে। তারা হলো– কবিতা, মোহনা ও মাহমুদা। এছাড়া গত ৩০ জুলাই রাতে ওই গ্রামেরই আরেক শিক্ষার্থী রেশমা বিয়ে করে ফেলেছে পরিবারকে না জানিয়ে।

কেশরহাট টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তিলাহারি গ্রামের আয়নালের ছেলে মিলন ও টুটুল, হরিদাগাছি গ্রামের দুলালের ছেলে সাহিনুর রহমানসহ আরও কয়েকজ শিক্ষার্থী লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে।

কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করে আসছে। তবে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছেলে–মেয়ে লেখাপড়ার দিকে আর নজর দিচ্ছে না। তারা বাড়িতে বসে লেখাপড়ার চর্চাটুকুও হয়তো করছে না। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে। এর পেছনে পরিবারের অবহেলাও থাকতে পারে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, খোঁজ পেয়েছি, আমার বিদ্যালয়ের ১৩–১৫ জন শিক্ষার্থী বিয়ে করে ফেলেছে। আসলে পারিবারিক সচেতনতা জরুরি। দ্রুত এ সমস্যা কাটিয়ে উঠুক এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কোনো কর্মকর্তাই জবাব দেননি।

লাইভ রেডিও

Calendar

March 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31