২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
কামরুজ্জামান হিমু
“আমরা তো নৌকায় ভোট দিসি, তাইলে আওয়ামীলীগের এম পি আমাগো মারে ক্যান ? ” বলেন মৎস্যজীবী গৌরী রাণী বর্মণ ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন । ‘সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ এর উদ্যোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ছোট ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে প্রেক্লাবে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি চন্দন বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক জন্টু বর্মণ, সহ-সভাপতি মনিন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, সদস্য গৌরী রাণী বর্মণ, মঞ্জু রাণী বর্মণ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহজোট সিনিয়র সহ-সভপতি প্রদীপ কুমার পাল, বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি সৌমিত্র দেব, সাংবাদিক মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী ও মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতায় যখন অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতির সরকার ঠিক এই সময়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে যার লাগামহীন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমান রয়েছে সেই মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও সুবিচার পাচ্ছি না। সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. গরীব জেলেদের সংগঠন। এই সংগঠন মনাই নদী প্রকাশিত সুনই নদী জলমহাল ১৪২২ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪২৭ সন পর্যন্ত ইজারা প্রাপ্ত হয়ে ভোগ করে আসছে। এতে নজর পড়ে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলার চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের। তাদের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী জলমহাল থেকে সমিতিকে বিতারিত ও উচ্ছেদ করে দেন।
সম্প্রতি সুনই গ্রামের এমপি রতনের বড় ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ ও ছোট ভাই যতন মিয়া, মোজাম্মেল হোসেন রোকন, আব্দুস ছালাম মুন্সি নেত্রকোনা জেলা বারহাট্টা থানা), সোপেল, নুরুজ্জামান-মেম্বার, রিপন মিয়া, আবুল কাশেম, জুলহাস, খাইরুল, বাপ্পন, জানু খা, গণি মিয়া, রোমান মিয়া, দিলু মিয়া, মনু মিয়াসহ সন্ত্রাসীরা জলমহাল দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের দুটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার লুট করে নেয়। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে লিখিতভবে অবগত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় প্রশাসনসহ সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের ট্রালার দুটি উদ্ধার করে দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ১৪২৭ সনের খাজনাও পরিশোধ করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এম পি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ছোট ভাই রোকনের নির্দেশে ওই দিন বিকাল চারটার দিকে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-শন্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের উপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন রতন মিয়া, মনিন্দ্র বর্মণসহ সাত জন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে অবগত করা হলে তিনি ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় গত পহেলা অক্টোবর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মণ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অদ্যবধি এই মামলার আসামিরা অবাধে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অন্যদিকে নানা ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকী দিয়ে আমাদের ইজারাকৃত সুনই জনমহালের পাড়ে স্থাপনা তৈরী করে দখল করছে বলে অভিযোগ করেন চন্দন বর্মণ।
সৌমিত্র দেব বলেন, সবল চিরকাল দুর্বলের উপর অত্যাচার করে এসেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমি এ দাবির প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করছি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com